অনলাইন ডেস্ক : শনিবার ভোরে প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো দুল্লভছড়া নিভিয়া সড়কের পাশে থাকা ফানাইরবন্দ এলাকার জনগণের। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন বারো চাকার একটি লরি পড়ে রয়েছে সড়কের পাশে। অল্প দূরে দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছে পুলিশের বলেরো গাড়ি। পুলিশ দৌড়ে গিয়ে পলায়নরত দুজন কে ধরে নিয়ে আসছে। দূর্ঘটনায় অল্প আহত পুলিশ আধিকারিক কে অন্য এক গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিমিষেই অপর পুলিশ বাহিনী ছুটে এসে পুরো এলাকা কর্ডন অফ করে দেয়। স্থানীয় মানুষ হিন্দি ছায়াছবির দৃশ্যের মতো একের পর এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও কোন কিছুই কিন্তু বুঝে উঠতে পরছিলেন না। আসলে
শনিবার কাকভোরে অসম ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়িতে নাকা চেকিং এর সময়ে অসম পুলিশের এক কনেস্টবল কে পিষ্ট করে পালিয়ে যায় এক ট্রাক চালক। ফলে ট্রাকের চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে বাজারিছড়া থানাধীন চুরাইবাড়ি আউটপোষ্টের কনেস্টবল উজ্জ্বল বরার। সতীর্থরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মৃতদেহকে
শ্রীভূমি অসামরিক চিকিৎসালয়ে প্রেরণ করার পাশাপাশি জেলার সবকটি থানা কে সতর্ক করে দেয়। মৃত কনেস্টবলের বাড়ি যোরহাট জেলায় বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনা সংঘটিত করে টি আর ০১ এ ইউ ১৬৭২ নম্বরের লরিটি পালিয়ে যেতে রাতাবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে। ফলে সঙ্গে সঙ্গেই রাতাবাড়ির ও সি বিমল ছেত্রী পুলিশ বাহিনী নিয়ে ট্রাকটির পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু দুল্লভছড়া নিভিয়া সড়কের ফানাইরবন্দ এলাকায় এসে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনা গ্রস্ত হয়ে সড়কের পাশে পাল্টে যায়। সেই সাথে রাতাবাড়ি থানার গাড়িও দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে ওসি বিমল ছেত্রীও অল্প আহত হয়েছেন।পরবর্তীতে ঘাতক ট্রাকচালক অভিজিৎ শব্দকর ও সহ চালক গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। চালক অভিজিৎ শব্দকারের বাড়ি ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকার কালিবাড়ি গ্রামে ও সহ চালক গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি ত্রিপুরার চানপুর এলাকায়। লরিটিতে ব্যবহৃত খালি কার্টন বোঝাই ছিল। পুলিশের ধারনা ছিল কোন অবৈধ সামগ্রী লুকিয়ে পাচার করতে গিয়ে নাকা চেকিং এ পুলিশ কনেস্টবল কে খুন করে পালিয়েছে ট্রাক চালক। এতে শ্রীভূমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব জ্যোতি কলিতা সহ পুলিশের অন্আযান্য ধিকারিকরা ও ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে চালকের আসনের নীচে থাকা গোপন চেম্বার থেকে দশটি কৌটা ভর্তি ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত মাদকের বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। পুলিশ হত্যাকারী ট্রাক চালক ও সহ চালককে থানায় নিয়ে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।