অনলাইন ডেস্ক : শিলচর ন্যাশনাল হাইওয়ে এলাকার রুবি ওয়াইন শপের মালিক সুকান্ত করের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কাছাড় পুলিশের এই ব্যর্থতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। দলবদ্ধ এই হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজিত দাস চৌধুরী সহ তার সঙ্গীরা ইতিমধ্যে শিলচর আদালতে জামিনের জন্য দু’দুবার আবেদন করেছেন। এই জামিনের আবেদন ও হলফনামায় স্বাক্ষর করেছেন তারা। অথচ পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না বলে বার বার একই কথা বলছে। বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিবেকানন্দ রোডে সদ্য গঠিত শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। বুধবার কাছাড়ের পুলিশ সুপারের কাছে এসম্পর্কে একটি স্মারকপত্র ও তুলে দিয়ে কমিটি শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
গত ২৫ মে রাতে প্রাণঘাতী এই হামলার ঘটনা ঘটে ন্যাশনাল হাইওয়ে পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় রুবি ওয়াইন শপের সামনে।দোকানের মালিক সুকান্ত করকে রাস্তায় ফেলে প্রাণঘাতী হামলা চালান কৈবর্ত পরিষদের নেতা সুজিত ও তাঁর সঙ্গীরা। গোটা ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে বন্দি হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে সেই ফুটেজ নিয়েছে।পরে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যান মূল অভিযুক্ত সুজিত। ওই কমিটি প্রশ্ন তুলেছে, তবে কি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন সুজিত?
ব্যবসায়ী সুকান্ত করের ওপর হামলার ঘটনার পরদিনই সংবাদ মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে পাল্টা অভিযোগ করেন সুজিত দাস চৌধুরীরা। তাদের অভিযোগ, এই মদের দোকানের সামনে এক মহিলা যাওয়ার সময় তাঁকে দেখে অশালীন আচরণ করা হয়। সেই খবর পেয়েই তারা মদের দোকানটিতে যান। এনিয়েই সুকান্ত করের সঙ্গে হয় বচসা। সেই সূত্রেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অথচ মদের দোকানের সামনে মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনার তদন্ত নেমে তেমন তথ্য ও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। সেকথা আগেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে একাধিক সংগঠন। সমাজের বিশিষ্টজনেরাও মুখ খুলেছেন। ডিজায়ার ফর লাইফ নামের সংগঠন জেলাশাসককে স্মারকপত্র দিয়ে ব্যবসায়ী সুকান্ত করের ওপর হামলাকারীদের শীঘ্রই গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। পরে বিবেকানন্দ রোডে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে প্রতিবাদী লোকেরা জানান, শিলচরে যারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হোক পুলিশ। সেদিনের গঠিত কমিটি ব্যবসায়ী সুকান্ত করের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকপত্র দিয়েছে। বুধবার এ সম্পর্কে কাছাড়ের পুলিশ সুপারকে আরেকটি স্মারকপত্র দেন স্থানীয়রা।