অনলাইন ডেস্ক : দীপাবলির দিনে কম বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে গত বছর গোটা দেশের মধ্যে শিলচরের অবস্থান ছিল তিন নম্বর। এবার হয়তো শেষ পর্যন্ত ঠিক সেই পর্যায়ে থাকা সম্ভব হবে না। তবে এবারও বৃহস্পতিবার দীপাবলীর রাতে বায়ু দূষণের পরিমাণ যথেষ্ট কম।
বায়ু দূষণের সূচক মান ৫০-এর কম হলে তা বেশ ভালো বলে ধরে নেওয়া হয়। গত বছর দীপাবলীর দিনে শিলচরে এই মান ছিল ৩৪। যার দরুন এক্ষেত্রে কর্ণাটকের মাদিকেরি ও তামিলনাড়ুর উটির পর গোটা দেশের মধ্যে শিলচরের স্থান হয়েছিল তৃতীয়। এবার সেই মান ধরে রাখা সম্ভব না হলেও সূচক রয়েছে ৫০-এর ধারে কাছে। বৃহস্পতিবার দীপাবলীর রাত ৯টা নাগাদ ,প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের শিলচর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যাবাহী বাস্তুকার অরবিন্দ দাস জানান, বিস্তারিত হিসেব করা না হলেও যে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে এবার শহরে বায়ু দূষণের সূচক থাকবে ৫০-এর ধারেকাছেই। গত বছরের মত না হলেও তা সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শব্দদূষণ নিয়ে তিনি জানান, এক্ষেত্রেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তথ্য সংগ্রহের পর আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সারতে কিছুটা সময় লাগবে।তবে মনে হচ্ছে শব্দ দূষণের মাত্রা শেষ পর্যন্ত থাকবে গত বছরের মতই। প্রসঙ্গত গত বছর ১২ নভেম্বর দীপাবলীর দিন শহরের জেলা কমিশনারের কার্যালয় এলাকায় গড়পড়তা শব্দ দূষণের মাত্রা ছিল ৬০ ডেসিবেল, জানিগঞ্জে ৭৬ ডেসিবেল, অম্বিকাপট্টিতে
৬৩ ডেসিবেল, নেতাজি সুভাষ এভিনিউতে ৬৫ ডেসিবেল, জেলা আদালত চত্বরে ৫৬ ডেসিবেল এবং রাঙ্গিরখাড়ি এলাকায় গড়পড়তা শব্দ দূষণের মাত্রা ছিল ৭৬ ডেসিবেল।
পর্ষদের অন্য এক সূত্র জানান, বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া গেলেও মনে হচ্ছে এবার শহরে শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে থাকবে রাঙ্গিরখাড়ি। গত বছর শীর্ষে ছিল জানিগঞ্জ, শুধু গত বছরই নয় এর আগের কয়েক বছরও দেখা গেছে দীপাবলিতে শহরে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয়েছে জানিগঞ্জে। তবে এবার অগ্নিকাণ্ডের দরুন ওই এলাকায় পটকা ফাটানো হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। তাই ওই এলাকায় এবার তুলনামূলকভাবে কম শব্দদূষণের মাত্রাও।