অনলাইন ডেস্ক : সবুজ পাহাড়ের উপর ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে প্রতিবাদ। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ফুলেরতলে এভাবেই অভিনব প্রতিবাদ জানাল লক্ষ্মীপুর কংগ্রেস কমিটি। পাঁচ জুন যেখানে সবাই বৃক্ষরোপণ করেছেন, নানা ধরনের পরিবেশ সচেতনতা সম্পর্কিত কাজ করেছেন সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে বিক্ষোভ প্রদরশন করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন লক্ষীপুরের পুর কমিশনার অমিত দাস।
আসলে এটা বৈধ ডাম্পিং গ্রাউন্ড নয়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড যে জায়গায় ছিল সেই জায়গা থেকে দেড়শো মিটার দূরে সুন্দর পাহাড়ের পাশে আবর্জনা ফেলছে লক্ষীপুর পুরসভা। এনিয়ে অমিত দাস জানান, এটা সম্পূর্ণভাবে পরিবেশ আইনের পরিপন্থী। তাই তারা পাঁচ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন এই আন্দোলন করে প্রতিবাদ জানান লক্ষীপুর পুরসভার পরিবেশ বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। এভাবে আবর্জনার স্তূপ ফেলায় এই এলাকার জল দূষিত হয়ে গেছে। যারা নিচে বসবাস করছেন তারা পানীয়জল পাচ্ছেন না। এছাড়া সুন্দর এই পাহাড়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বারবার প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও লক্ষীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করায় বাধ্য হয়ে অভিনব আন্দোলনে নামতে হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, এদিনের বিক্ষোভের পরও যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে তিনি গ্রিন ট্রাইবুনালে আবেদন করবেন। ডাম্পিং গ্রাউন্ড যে জায়গায় আছে, সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে না। ফেলা হচ্ছে এখানে। এটা অত্যন্ত অন্যায় এবং পরিবেশ বিরোধী মানসিকতা। এছাড়া দেখা যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত এখান থেকে আগুন জ্বলছে। ২৪ ঘন্টা এই আবর্জনার স্তূপ থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হয়। আর পাশেই জাতীয় সড়ক, রাস্তা দিয়ে দাহ্য পদার্থবাহী বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। এগুলি আগুনের সংস্পর্শে এলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কাও করছেন অমিত দাস, বাপ্পা সেনরা।
তাঁরা জানান, পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলেও রহস্যজনক কারণে লক্ষ্মীপুরের পুর প্রশাসক এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছেন না। তাই লক্ষ্মীপুর শহরের ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে এর একটা বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তাঁর। অন্যথায় এ নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেওয়া হয়।