শিলচর, ৩১ আগস্ট : গত কিছুদিন ধরে কাছাড় কলেজ প্রতিদিনই চলে আসছে খবরের শিরোনামে। ব্যতিক্রম হল না বুধবারও। এদিন কলেজে ঢুকতে বাধা পেয়ে গেটের সামনে ধর্নায় বসে যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আনন্দচন্দ্র ঘোষ। পরবর্তীতে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি শশাঙ্কশেখর ধরের আশ্বাস পেয়ে আনন্দবাবু ধর্না প্রত্যাহার করলেও এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বিভিন্ন অভিযোগে মাসকয়েক আগে আনন্দবাবুর কলেজে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই থেকে তিনি কলেজে যাচ্ছিলেন না। তবে গতকাল মঙ্গলবার পরীক্ষা কান্ডকে ঘিরে তদন্তের জন্য উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সঞ্চালক ধর্মকান্ত মিলি কলেজে এলে হাজির হন আনন্দবাবুও। অন্যান্য শিক্ষকদের পাশাপাশি তিনিও সঞ্চালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিচার চান।
মঙ্গলবার তাকে কলেজে প্রবেশে কেউ বাধা না দিলেও বুধবার সকালে ফের তিনি কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে অধ্যক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে বাধা দেন। বাধা পেয়ে আনন্দবাবু কলেজের গেটের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন। তিনি ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, অধ্যক্ষ কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশের কথা তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এবার তিনি সুবিচার চান। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন ধর্না। এই পরিস্থিতিতে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক তার সঙ্গে কথা বলতে যান। যদিও প্রথমত তিনি ধর্না প্রত্যাহারে রাজি হননি। পরবর্তীতে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি শশাঙ্কশেখর ধর মোবাইলে তার সঙ্গে কথা বললে আনন্দবাবু ধর্না প্রত্যাহার করেন। শশাঙ্কবাবু জানিয়েছেন, তিনি সবকিছু খতিয়ে দেখে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সক্রিয় হবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আনন্দবাবুকে।
এদিকে অসম কলেজ শিক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাউকে পূর্ন বেতন দিয়ে এভাবে কলেজে ঢুকতে না দেওয়াটা সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।