অনলাইন ডেস্ক : কালবৈশাখী ঝড়ে ভূপতিত হয়েছে বিদ্যালয় ভবন। সেই ভবন পুনর্নির্মাণে শিক্ষা বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা কার্যত উদাসীন। উল্টে সেই সুযোগে বিদ্যালয়ের মধ্যাহ্ন ভোজনের টাকা পকেটস্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে লক্ষীপুর শিক্ষাখন্ডের এসআই বাহারুল বড়ভুইয়ার বিরুদ্ধে। আর অভিযোগকারী হলেন ওই ব্লকের অন্তর্গত ১২৬৩ নং ডুঙ্গিরপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দিন চৌধুরী।
কাছাড়ের বিদ্যালয় সমূহের উপ পরিদর্শকের (ডিআই) কাছে এক লিখিত অভিযোগে সাহাবউদ্দিন জানান, গত ২০ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ডুঙ্গিরপার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভূপতিত হয়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেদিন থেকেই পড়াশোনা বন্ধ। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সাহাব উদ্দিন সঙ্গে সঙ্গেই বিভাগীয় কর্তাদের জানান। দুদিন পর তিনি মধ্যাহ্ন ভোজনের মাসিক হিসেব জমা দিতে ব্লক কার্যালয়ে গেলে এসআই বাহারুল বড়ভুইয়া নাকি তাঁর কাছে মধ্যাহ্ন ভোজনের টাকাগুলো দাবি করেন। সাহাব উদ্দিন এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, সেই টাকা বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা আছে। টাকা না পেয়ে এসআই তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, ডুঙ্গিরপার বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে পড়ায় সাহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং ওপর শিক্ষক সুস্মিতা দেবকে ওই এসআই মৌখিক নির্দেশে প্রথমে শিলঘাট বিদ্যালয়ে এবং পরে ‘শাস্তিস্বরূপ’ হাজি জাহির আলি মেমোরিয়াল স্কুলে বদলি করেন। পাশাপাশি সব ছাত্রদেরও ওই স্কুলে পাঠানো হয়। সেদিন ব্লক কার্যালয়ে এসআই বাহারুল যখন ডুঙ্গিরপার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দিনকে টাকা না দেওয়ায় গালিগালাজ করছিলেন তখন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনীর ব্লক সভাপতি আকবর হোসেন বড়ভুইয়া। তিনিও একজন শিক্ষকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের প্রতিবাদ জানান। ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ জানিয়ে সাহাব উদ্দিন ডিআই-র কাছে উপযুক্ত বিচার কামনা করেছেন। সেই সঙ্গে উক্ত এসআইকে লক্ষীপুর ব্লক থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন।