অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার ইস্যুকে ঘিরে সে জেলার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেসী বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাকযুদ্ধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার বাজেটে জেলার রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার রামকৃষ্ণনগরে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তির পর এর সূত্র ধরে কমলাক্ষকে আক্রমনের নিশানা করে তুললেন বিজয় মালাকার।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে রাতাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক বিজয়বাবু কমলাক্ষের প্রতি বাক্যবান নিক্ষেপ করে বলেন, কমলাক্ষ সুযোগ পেলেই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ বিজেপি সরকারের সমালোচনার সুযোগ ছাড়েন নি। হয়তো উনি ভেবেছিলেন, বিগত দিনে কংগ্রেস যেভাবে নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস সেরে পরবর্তীতে ভুলে যেত সবকিছু, বিজেপিও এগোবে সেই পথেই। তাই তিনি মেডিক্যাল ইস্যুতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সমালোচনায় মেতে উঠার কোনও সুযোগই ছাড়েননি। আর বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজ তৈরীর ব্যাপারটা পাকা হয়ে যাওয়ার পরও তিনি সমালোচনা চালিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু করিমগঞ্জ জেলায় মেডিকেল হবে, আর এই জেলারই একজন বিধায়ক এর বিরুদ্ধচারণ করছেন তা দুর্ভাগ্যজনক ছাড়া আর কিছু নয়।
বিজয় কমলাক্ষের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস দলেরও সমালোচনা করে বলেন, বিগত দিনে সোনার রাতাবাড়ি গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ওই দল অনেক নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে। কিন্তু রাতাবাড়ির উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি। এবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাস্তবিকই সোনার রাতাবাড়ি গড়তে সচেষ্ট হয়েছেন। শনবিলে পাঁচশ কোটি ব্যায়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাতাবাড়ি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যও ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বিগত দিনে যা দেখা যায়নি মোটেই। এর জন্য তিনি জল সম্পদ মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকাকেও ধন্যবাদ জানান।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বরাক উপত্যকার প্রতি খুবই যত্নশীল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন ২০২২ এ বন্যা ও ভূমিধসের সময় মনে হয়েছিল এই উপত্যকা হয়তো দীর্ঘদিনের জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এক মাসের মধ্যেই বরাকের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে তোলেন। সঙ্গে অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগের প্রশংসা করে বলেন বাজেটে যেভাবে মহিলাদের উন্নয়নের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা নজির বিহীন।