নয়াদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর : তেইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ের আবেগকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিনের মেঘালয় সফরে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঞ্চে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলং ছাড়তে না ছাড়তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের চার বিধায়ক। এর মধ্যে একজন রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সদ্য পদত্যাগী বিধায়ক। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার উপস্থিতিতে এই চার মেঘালয়ের বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। হিমন্তবিশ্ব শর্মা এদিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বে আস্থা রেখে এই বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বিজেপিতে এদিন যোগ দিয়েছেন এনপিপি-র বেনেডিক্ট আর মারাক ও ফার্লিন সি এ সাংমা, নির্দল সামুল সাংমা এবং তৃণমূল ত্যাগী হিমালয়া মুক্তান শাংপ্লিয়াং। সূত্রের খবর, মমতার পাহাড় সফরে অশনি সংকেত দেখছেন মোদি-শাহরা। ত্রিপুরা ও অসমের পর মেঘালয়ে তৃণমূল শক্ত জমি তৈরি করলে ‘সেভেন সিস্টার’ রাজ্যগুলিতে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বিজেপিকে। এছাড়া, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে মেঘালয়ে। উত্তর-পূর্বের আরও তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। লোকসভা আসনের বিচারে এই রাজ্যগুলির ফলের বিশেষ গুরুত্ব না থাকলেও, যেহেতু সব জায়গাতেই বিজেপি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতায় রয়েছে, তাই মোদি-ম্যাজিক কার্যকর কি না, পরীক্ষা তারও।
সূত্রের খবর, শাংপ্লিয়াং-সহ বাকি বিধায়কদের দলে টানতে মোটা টোপ দিয়েছিল বিজেপি। আর সেই টোপই গিলেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত মাসে মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার মেটবাহ লিংডোর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন শাংপ্লিয়াং, মারাক এবং ফার্লিন সি এ সাংমা। তারপর থেকেই তাঁদের বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মেঘালয়ের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দল এনপিপি-র সঙ্গে জোট সরকার রয়েছে বিজেপির। আর শরিক দলেরই বিধায়ক ছিলেন বেনেডিক্ট আর মারাক এবং ফার্লিন সি এ সাংমা।