অনলাইন ডেস্ক : দেশের অন্যান্য কিছু স্থানের মধ্যে যোগাযোগকারী ট্রেনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার যাত্রা শুরু হল শিলচর এবং সেকেন্দ্রাবাদের মধ্যে যোগাযোগকারী ট্রেনেরও।
দিল্লি থেকে অন্যান্য ট্রেনের সঙ্গে রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব “ভার্চুয়ালি”এই ট্রেনেরও যাত্রারম্ভ করেন। এর পাশাপাশি শিলচর ট্রেনের যাত্রারম্ভ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের।
শিলচর রেল স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লামডিং থেকে আসা বিভাগীয় এডিআরএম এস এস খংরামাই, কাছাড়ের জেলাআয়ুক্ত রোহন কুমার ঝা, পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো, কাছাড়ের জেলা পরিষদের সভাপতি অমিতাভ রাই , শিলচরের বিধায়কের প্রতিনিধি অভ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং রেলওয়ে ইউজারস কমিটির সদস্য হারান দে। “ফ্ল্যাগ অফ” করে এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রারম্ভের আগে তারা সবাই বক্তব্য রাখেন। এডিআরএম জানান, আগে গুয়াহাটি এবং সেকেন্দ্রাবাদের মধ্যে যে এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করতো এবার শিলচর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে তা। তিনি এতে দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করেন। একই সুরে বক্তব্য রাখেন অন্যান্য বক্তারাও। হারান দে সঙ্গে ভৈরবী এবং গুয়াহাটির মধ্যে একটি ট্রেন চালু করার জন্য রেলকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইভাবে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিলচর এবং ভৈরবীর মধ্যে যাতায়াতের জন্য সকালের দিকে একটি ট্রেন চালু করতেও।
বক্তব্য পর্বের পর ট্রেনটির “ফ্ল্যাগ অফ” করেন এডিআরএম এস এস খংরামাই, অমিতাভ রাই, হারান দে ও অভ্রজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। রেলের এক সূত্র জানিয়েছেন, এদিন শিলচর থেকে ট্রেনটির যাত্রারম্ভের সময় সংরক্ষিত আসনে যাত্রী ছিলেন ২৫ জন। এছাড়া সাধারণ শ্রেণীতে ছিলেন আরও কয়েকজন। এদিন বৃহস্পতিবার অন্যান্য অংশের সঙ্গে ট্রেনের সঙ্গে এই ট্রেনটির যাত্রারম্ভ হলেও এমনিতে ট্রেনটি শিলচর থেকে চলবে সপ্তাহে শুধু বুধবার। বুধবার রাত ৭ টা ৫০ মিনিটে যাত্রারম্ভ করে তা সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছাবে শনিবার ভোর রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে। আর সেকেন্দ্রাবাদ থেকে ফের যাত্রারম্ভ করবে শনিবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে, শিলচরে পৌঁছাবে সোমবার রাত ১১ টা ২০ মিনিটে। এদিন ট্রেনটি যাত্রারম্ভ করেছে ১৪টি কোচ নিয়ে। তবে পরবর্তীতে কোচের সংখ্যা হবে ২৩। এদিন যাত্রারম্ভের সময় ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যান লোকোপাইলট ডি গোয়ালা, এবং ট্রেন ম্যানেজার (গার্ড ) হিসেবে রয়েছেন অনুপম বিশ্বাস।