অনলাইন ডেস্ক : নাবালিকার সঙ্গে বলপূর্বক যৌনাচারের মামলায় যুবককে সাত বছর কারাবাসের সাজা শুনালো কাছাড়ের স্পেশাল জজ টি হোসেনের আদালত। সাজাপ্রাপ্ত যুবক রূপম দাস ওরফে রূপু (৩২) শিলচর ইটখোলা স্বামীজি রোডের বাসিন্দা।
ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ৮ জুন। ওইদিন রাত সাড়ে ৭ টা নাগাদ ইটখোলা এলাকারই বছর ১৬র এক নাবালিকা প্রাইভেট টিউটরের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিল। পথে তার সঙ্গে দেখা হয় পূর্ব পরিচিত রূপমের। রূপম তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেবার কথা বলে সঙ্গী হয়। কিন্তু কিছুটা এগুনোর পর বাহানা করে বিশেষ কাজের কথা বলে নাবালিকাকে নিজের স্বামীজি রোডের বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় রূপমের বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। ঘরে ঢোকার পর রূপম হঠাৎ দরজা বন্ধ করে নাবালিকার উপর বলপূর্বক যৌনাচারে উদ্যত হয়। সে যৌনাচার চালানোর সময় ওই নাবালিকা কোনওক্রমে তাকে ধাক্কা মেরে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে। এবং আশ্রয় নেয় কাছেই নিজের এক আত্মীয় বাড়িতে। আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে ওই বাড়ির লোকেদের সব কিছু খুলে বলে। খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান নাবালিকার মা। তারা রূপমের মাকে ডেকে সবকিছু জানান। এরপর ব্যাপারটাতে হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় এক মহিলা সমিতি। মহিলা সমিতির এক কর্মকর্তাকে রূপমের পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাপারটা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। মহিলা সমিতি এ নিয়ে উদ্যোগী হওয়ার পর কয়েকদিন কেটে যায়। এরপর একদিন মহিলা সমিতির কার্যালয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিন রূপমের সুর বদলে যায়। সে কোনও কথা না শুনে উল্টে ওই নাবালিকা ও তার মাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এরপর নাবালিকার মা ২০ জুন বলপূর্বক যৌনাচারের ঘটনা নিয়ে মালুগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে দায়ের করেন এজাহার। এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত চালায় পুলিশ। এরপর মামলা গড়ায় আদালতে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার আদালত রায় ঘোষণা করে। এতে রূপমকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড।