অনলাইন ডেস্ক : ডিএসএ-র সচিব অতনু ভট্টাচার্যের অপসারণ চেয়ে সভাপতি শিবব্রত দত্তকে চিঠি দিলেন শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২১ জন পদাধিকারী। গৌরব গগৈকে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে সভাপতি পদে নিযুক্তির জন্য শিলচর ডিএসএ সচিব অতনু ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সারাদিন উত্তাল ছিল শিলচরের নেট দুনিয়া।
সন্ধ্যা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সোস্যাল মিডিয়া থেকে সেটা ছড়িয়ে পড়ে শহরের গোটা ক্রীড়া মহলে। চক্ষু চরক গাছ হয়ে যায় শিলচর ডিএসএ-র প্রত্যেক পদাধিকারীদের। দফায় দফায় শুরু হয়ে যায় বৈঠক। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বর্তমান পরিচালন কমিটির সদস্যদের তার বাড়িতে ডেকে বৈঠকে বসেন। সেখানে সচিবের এহেন মন্তব্যের জন্য প্রত্যেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করে অতিসত্বর সচিবের অপসারণ দাবী করেন। এরপর তরীঘরি সংস্থার পদাধিকারীরা সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপ সভাপতি আশুতোষ রায়, নন্দদুলাল রায়, সুবিমল ধর, প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, অজয় চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরী, সহ সচিব দেবাশিস সোম, অরিজিত গুপ্ত, অজয়কুমার রায় প্রমুখ।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশুতোষ রায় বলেন, ডিএসএ-র সচিব অতনু ভট্টাচার্য গৌরব গগৈ-কে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন তানিয়ে আজ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। একটা অরাজনৈতিক পদে থেকে সেটা তিনি করতে পারেননা। সুবিমল ধর বলেন, ফেসবুকে মন্তব্য করা ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ডিএসএ-র মত একটা অরাজনৈতিক সংস্থার পদে থেকে সেটা তিনি করতে পারেননা। খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামোর পূর্ণতা আনতে সরকারের সহযোগিতা খুবই জরুরি। তাছাড়া বর্তমান সরকার শিলচর ক্রীড়ার পরিকাঠামো গত উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু ডিএসএ সচিবের এধরণের মন্তব্য ক্ষতি করতে পারে জেলার ক্রীড়া ক্ষেত্রকে।নন্দদুলাল রায়ও একই সুরে কথা বলেন। অজয় চক্রবর্তী বলেন, এই সচিবের সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাইনা। ডিএসএ-র সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দলের লোক থাকতে পারেন। কিন্তু এটা খেলাধুলার জায়গা। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি। রাজনীতির এখানে কোনও স্থান নেই। তাই আজকের পোস্টের জন্য আমরা ২১ জন পদাধিকারীর সাক্ষরে ডিএসএ-র সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছি অতিসত্বর তাকে এই পদ থেকে সরানোর জন্য। প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ সকালে পোস্টটা দেখে খুব খারাপ লাগল। রীতিমতো লজ্জা বোধ করছি আমরা। সরকার ইতিমধ্যেই ডিএসএ-র পরিকাঠামোর উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার মঞ্জুরি দিয়েছে। যার পাঁচ কোটি দিয়ে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে স্টেডিয়ামকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার কাজ।’ সচিবের মন্তব্যকে ধিক্কার জানাই। এছাড়াও একই সুরে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরী, তিন সহ সচিব দেবাশিস সোম, অরিজিত গুপ্ত ও অজয় রায়।