অনলাইন ডেস্ক : শিলচর জানিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ বাজেয়াপ্ত করল ১০০০ বোতল কফ সিরাপ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃত তিনজন করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানা এলাকার বারইগ্রাম কাঁঠালগুলের বিজয় কুমার নাথ ও উত্তম নমঃশূদ্র এবং বারইগ্রাম কাশিমপুর (বাদেজমা)এর রশিদ আহমদ।
শুক্রবার বিকেলে ওই তিনজন একটি মারুতি সুইফট গাড়িতে করে কফসিরাপ নিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে তাদের পাকড়াও করে শিলচর পুলিশ। পুলিশের এক সূত্র জানান, প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গেছে সে অনুযায়ী কফ সিরাপ পাঠানো হয়েছে চন্ডিগড়ের মোহালির এক কোম্পানি থেকে। কুরিয়ার সংস্থার মারফত বারইগ্রামের এক ফার্মাসির নামে পাঠানো হয়েছিল এসব কফ সিরাপ। রিতিকা ফার্মা নামে বারইগ্রামের ওই ফার্মাসির মালিক বিজয় কুমার নাথ। এদিন বিজয়, উত্তম ও রশিদ সহ শিলচরে এসে কুরিয়ার সংস্থা থেকে কফসিরাপ সমঝে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তাদের পাকড়াও করা হয়।
পুলিশের সূত্রটি জানান, কুরিয়ার সংস্থার মারফত মোহালি থেকে কফসিরাপ পাঠানো হলেও কেন সেসব করিমগঞ্জে পাঠানো হয়নি বর্তমানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারইগ্রামের বিজয় কুমার নাথের ফার্মাসির নামে কফ সিরাপ করিমগঞ্জে পাঠানোই ছিল সুবিধাজনক। বিজয়দের পাশাপাশি মোহলির যে কোম্পানি থেকে কফ সিরাপ পাঠানো হয়েছে, সেই কোম্পানিকেও তদন্তের আওতায় আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সূত্রটি।
এদিকে অন্য এক বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব সম্ভবত বারইগ্রামে নিয়ে এসব কফ সিরাপ ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। কারন বাংলাদেশে কফসিরাপ নেশার জন্য ব্যবহৃত হয় ব্যাপকহারে। আর এই ব্যবসায় পাচারকারীদের লাভ থাকে মাত্রাতিরিক্ত। বাংলাদেশে কফ সিরাপ পাচার চক্র সম্পর্কে তথ্য বের করতে বর্তমানে বিজয়দের জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।