অনলাইন ডেস্ক : দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন ধর্নারত কুস্তিগিররা। বুধবার মাঝরাতে দিল্লির যন্তরমন্তরে হঠাৎই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং পরে সেটাই হাতাহাতিতে গড়ায়। ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এদিকে দেশের তারকা কুস্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের এমন আচরণের জেরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে এবং তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিকদের মতো পরিচিত, বিখ্যাত কুস্তিগিররা। ইতিমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত, নানা ক্ষেত্র থেকে তাঁদের প্রতি সমর্থনের বার্তা এসেছে রাজধানীতে। তারমধ্যেই এবার সেখানে হাঙ্গামা বাঁধল।
ধর্নারত কুস্তিগিরদের অভিযোগ, পাহারায় থাকা দিল্লি পুলিশের একটি দল বুধবার সন্ধে থেকেই মদমত্ত অবস্থায় অসংলগ্ন আচরণ করছিল। রাত যত বাড়তে থাকে, পুলিশের আচরণ আরও খারাপ হতে শুরু করে। এরপর মাঝরাতে তাঁরা আচমকাই মহিলা কুস্তিগিরদের গালিগালাজ, এমনকী মারধরও করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, এতে দু’জন আহত হয়েছেন।
এরপর মাঝরাতেই সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় কুস্তিগির বিনেশ ফোগটকে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় মাটি ভিজে গিয়েছে। এই অবস্থায় নীচে বসতে না পেরে আমরা এখানে কাঠের উঁচু চৌকি পাতার চেষ্টা করছিলাম। সেইসময়েই পুলিশ এসে আমাদের বাধা দেয়। কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর আচমকাই আমাদের উপর হামলা করে। একজনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এই দিনটা দেখার জন্যই কি আমরা দেশের হয়ে এত পদক জিতলাম?’ আর এক কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলছেন, ‘বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের প্রতি সমর্থন আসছে। কিন্তু দেশের সরকার কিছু বলছে না। তেমন হলে সরকার আমাদের পদক ফিরিয়ে নিক।’
যদিও দিল্লি পুলিশের অভিযোগ আলাদা। ডিসিপি প্রণব তয়াল বলছেন, ‘বুধবার রাতে ওই ধর্নামঞ্চে এসেছিলেন আপ নেতা সোমনাথ ভারতী এবং আরও কয়েকজন। তাঁরা কোনওরকম পুলিশি অনুমতি ছাড়াই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। এরপর পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। ওই আপ নেতা এবং কর্মীদের সমর্থন জোগান কুস্তিগিররাও। সেই নিয়েই পুলিশ বাধা দিলে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।’ জানা গিয়েছে, সোমনাথ এবং তাঁর দুই সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।