অনলাইন ডেস্ক : পিঙ্কি রায় হত্যাকাণ্ডে ধৃত তার প্রেমিক পিনাক শুক্লবৈদ্যকে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এরমধ্যে শুক্রবার কিভাবে পিঙ্কিকে সে খুন করেছে তা দেখানোর জন্য পুলিশ তাকে ধোয়ারবন্দের সেই বহুতলে নিয়ে যায়। কড়া প্রহরার মধ্যে পুলিশ এদিন সকালে পিনাককে নিয়ে পৌঁছায় ধোয়ারবন্দে। তদন্ত প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই কিভাবে খুন করেছে তা দেখানোর জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যে বহুতল ভবন থেকে পিঙ্কির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই ভবনে।
পুলিশের এক সূত্র জানান, এই প্রক্রিয়াকে পুলিশি ভাষায় বলা হয় ক্রাইম সিন রিক্রিয়েশন। সেখানে পিনাক ম্যাজিস্ট্রেট রুথি আইলাজাওসেলেক-এর উপস্থিতিতে সে কিভাবে পিঙ্কিকে ওই ভবনে নিয়ে গিয়েছিল, কিভাবে খুন করেছে সব অভিনয় করে দেখায়। জানা গেছে, বহুতল ভবনের পাশাপাশি পুলিশ পিনাককে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। যদিও তদন্তের স্বার্থে এনিয়ে পুলিশের কেউই মুখ খুলতে রাজি নন।
এদিকে পাঁচদিনের হেফাজত পর্বে পিনাককে সদর থানায় রেখে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের এক সূত্র জানান, পিনাক একা খুন করেছে বলে জানালেও এই ঘটনায় পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে অন্য কেউ তার সহযোগী হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে তাকে। পিঙ্কির হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে এদিন মা জননী সমাজ সেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলচরে মোমবাতি মিছিল বের করা হয়। মিছিল শুরু হয় শ্মশান রোডে সংগঠনের কার্যালয় থেকে এবং শেষ হয় হয় সুভাষ নগরে। সংগঠনের কর্মকর্তারা বলেন, পিঙ্কির নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায় এর জন্য হত্যাকারীকে ফাঁসি দেওয়া জরুরি।
কর্মকর্তারা ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, পিঙ্কি নাপাত্তা হওয়ার পর পুলিশ প্রথমত ব্যাপারটায় গুরুত্বই দেয়নি। এটা খুবই উদ্বেগের ব্যাপার। এসব চলতে থাকলে সাধারণ লোক আর পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারবেন না। তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উদ্দেশ্যে দাবি জানান, উত্তরপ্রদেশে যেভাবে অপরাধীদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়, এরাজ্যেও যাতে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়।