অনলাইন ডেস্ক : সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরকে নিয়ে কাছাড়ে হাজির হলো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-র একটি দল। সব্যসাচীকে নিয়ে এনআইএ-র দলটি উধারবন্দের মধুরা এলাকার ডিমাহাসাও সীমান্তবর্তী টিংটং ও আশপাশের কিছু এলাকায় তদন্ত চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের ইনচার্জ পদে থাকা সব্যসাচী অসমের সঙ্গে সাংগঠনিক সংযোগ রক্ষার দায়িত্বেও ছিল। এবছর জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় ধরা পড়ার আগে সব্যসাচী বার কয়েক আসা যাওয়া করেছে এ জেলায়। সে সময় তার মাথার দাম ঘোষনা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। ২০২২ সালে উধারবন্দের পাতিমারায় ধরা পড়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য সদস্য অরুন কুমার ভট্টাচার্য ওরফে কাঞ্চনদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখানে সংগঠন বিস্তারের কাজ করতো সে। আর এ জেলায় এলে তার মূল আস্তানা হত টিংটং-এ।
খবর অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে মাওবাদীরা এজেলার মধুরা, জয়পুর ও রূপাছড়া এলাকার জঙ্গলে যেসব শিবিরের আয়োজন করেছিল সেসব ক্ষেত্রে সব্যসাচীর বিরাট ভূমিকা ছিল। একাংশ প্রাক্তন ডিমাসা জঙ্গি ও স্থানীয় কিছু লোককে সহযোগী করে এসব শিবিরের ব্যবস্থা করেছিল সে। তবে এবার ধরা পড়ার পর তার এসব কার্যকলাপ অনেকটাই থমকে যায়। সব্যসাচীকে নিয়ে এনআইএ-র এবারের সরেজমিন তদন্তে কাছাড়ে মাওবাদী নেটওয়ার্ক নিয়ে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত এবছর জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় বাঘমুন্ডিতে ধরা পড়ার আগেও ২০০৫, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালেও তিন দফা সব্যসাচীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতি দফায়ই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে সংগঠনে ফিরে গিয়ে আরও জোর কদমে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাওবাদী কার্যকলাপে। তার বিরুদ্ধে সংগঠনের হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু নাশকতামূলক কার্যকলাপে নেতৃত্ব দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।