অনলাইন ডেস্ক : জলসম্পদ বিভাগে নিযুক্তি পাইয়ে দেবার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল শিলচর ঘুঙ্গুর এলাকার বাসিন্দা নিশিথ রঞ্জন দাসকে। গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে জেলহাজতে। নিশিথ রঞ্জন ধরা পড়ার পর এই প্রতারণা চক্রে জড়িত অন্যান্যদের সম্পর্কে পুলিশ খোঁজ খবর চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার শহরের তারাপুর এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন প্রতারিত ব্যক্তি নিশিথকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সমঝে দেন।পরদিন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এজাহার। এই এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে নিশিথকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর রবিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়।আদালতের নির্দেশে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে হাজতে।
নিশিথ সম্পর্কে জানা গেছে,সে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা নিযুক্তি প্রতারণা চক্রের বরাক উপত্যকার এজেন্ট। তার বয়ান অনুযায়ী,এই চক্রের মাথা গুয়াহাটি বেলতলা এলাকার বাসিন্দা হরিপ্রসাদ চেতিয়া নামে এক ঠিকাদার।যাকে সে “হরি স্যার” বলে সম্বোধন করে থাকে। হরি প্রসাদ চেতিয়া ছাড়া গৌহাটি হাইকোর্টের কলিতা পদবীর এক আইনজীবী ও চক্রে জড়িত বলে নিশীথের সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে নিশীথের সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গেছে, এর ভিত্তিতে তার কথিত গুয়াহাটির হরিপ্রসাদ চেতিয়া এবং কলিতা পদবীর আইনজীবী সম্পর্কেও খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত নীশীথদের চক্র শুধু শিলচর তারাপুর এলাকার কয়েকজনকে নিযুক্তি পাইয়ে দেবার নামে ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ। নিশিথের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, এই ১৭ লক্ষ সহ গোটা বরাক উপত্যকা থেকে তার হাত দিয়ে হরিপ্রসাদের কাছে জমা পড়েছে মোট ৪২ লক্ষ টাকা। যদিও প্রতারিতদের অনুমান, গোটা বরাক উপত্যকা থেকে এই চক্র নিযুক্তি প্রার্থীদের প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ।