অনলাইন ডেস্ক : চলে গেলেন শিলচরের প্রাক্তন দিকপাল ফুটবলার সুলতান আহমেদ। শনিবার দুপুরে বার্ধক্যজনিত রোগে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর । রেখে গেছেন স্ত্রী , দুই পুত্র ও দুই কন্যা সহ আত্মীয় স্বজন এবং অসংখ্য গুনমুগ্ধকে। ছাত্র জীবন থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল অগাদ টান । ক্লাব ফুটবল শুরু হয় টাউন ক্লাব থেকে । সুলতান আহমেদের সঙ্গে একই দলে খেলেছেন তারকা ফুটবলারদের মধ্যে বাদল লস্কর , অমলকান্তি দেবরায় , হরিবাহাদুর ছেত্রী , দলবাহাদুর ছেত্রী , বিজু ছেত্রীরা। খেলতেন লেফট উইং পজিশনে । তৎকালীন ক্রীড়া সংগঠক চারুরন্জন সেনের প্রচেষ্টায় পোস্টাল বিভাগে চাকরি পান সুলতান আহমেদ ।
তবে কয়েক বছর চাকরি করার পর একঘেয়ে চাকরি জীবন আর ভালো লাগেনি তাঁর । তাই চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় মনদেন ।
এক সময় ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৬৮-৭০ সালে কুমকুম দত্তের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে টাউন ক্লাবের সহ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ফুটবলের প্রতি বিশেষ অবদানের জন্য প্লাটিনাম জুবিলিতে তাঁকে সাম্মানিক সদস্য পদ দেয় টাউন ক্লাব । ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা জীতেন্দ্র চন্দ্র দাসগুপ্ত -র মুর্তি উন্মোচনের দিন সুলতান আহমেদ ও বাদল লস্করকে সংবর্ধনা জানায় ক্লাব । রাজ্য সরকার ক্রীড়া পেনশন দিয়ে সম্মান জানায় কাছাড় ফুটবলের সুলতানকে ।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পতাকা অর্ধনমিত করেছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা । তিন দিনের শোক পালন করছে টাউন ক্লাব ।
টাউন ক্লাব ছাড়াও ইটখলা ক্লাবের হয়ে জেলা লিগে খেলেছেন সুলতান আহমেদ । ইটখলা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে ক্রীড়া মহলে। বিভিন্ন ক্লাব , সংস্থা ছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে শোক জানিয়েছেন অনেকেই ।