অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে গান্ধীমেলায় বিনোদনের বিভিন্ন উপকরণ বসানোর জন্যও টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বুধবার জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, জেলাশাসক রোহণকুমার ঝা, পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক আশুতোষ ডেকা সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ মেলা আয়োজনে স্টলের নির্মাণ কাজ, বিদ্যুতিকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডার ডাকার প্রথা চালু থাকলেও বিনোদনের উপকরণ বসানোর ক্ষেত্রে কখনই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়নি। সেই ১৯৪৯ সালে মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনক কারণে বিনোদনের উপকরণ বসানোর ক্ষেত্রে কখনই টেন্ডার ডাকা হয়নি। এবার পরিস্থিতির চাপে প্রথমবারের মতো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অবশ্যই এক নতুন ইতিহাস । গান্ধীমেলায় নির্মাণ কাজ সহ বিদ্যুতিকরণের জন্য টেন্ডার ডাকা হলেও বিনোদনের উপকরণের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই এভাবে লুকোচুরিকে ঘিরে শোনা যাচ্ছিল নানা ফিসফিসানি। যদিও কেউই এনিয়ে প্রকাশ্যে কখনও সরব হননি। এবারও গত ২০ ডিসেম্বর পুরসভা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার মেলা কমিটি গঠনের পর একতরফাভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ‘ডি কে এন্টারপ্রাইজ’ নামে যে সংস্থা গত কয়েক বছর ধরে মেলায় বিনোদনের সামগ্রী বসিয়ে আসছিল দায়িত্ব দেওয়া হবে তাদেরই। কিন্তু রণে ভঙ্গ দিলেন জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা। সভা ডেকে স্টল নির্মাণ সহ বিদ্যুতিকরণের পাশাপাশি বিনোদনের উপকরণ বসানো নিয়েও টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার পর নির্বাহী আধিকারিক আশুতোষ ডেকা জানান, স্টল নির্মাণ এবং বিদ্যুতিকরণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয় বৃহস্পতিবারই। আর বিনোদনের উপকরণ বসানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হবে পরশু শুক্রবার। এক্ষেত্রে একদিন দেরি হওয়ার কারণ নিয়ে তিনি জানান, স্টল নির্মাণ ও বিদ্যুতিকরণের টেন্ডার ডাকার জন্য বিজ্ঞপ্তির প্রচুর নমুনা রয়েছে পুরসভায়। তবে বিনোদনের উপকরণের ক্ষেত্রে পুরনো কোনও বিজ্ঞপ্তির নমুনা পুরসভার ফাইলে নেই। কারণ আগেও কখনও এক্ষেত্রে টেন্ডার ডাকা হয়নি। তাই একটু ভেবেচিন্তে তৈরি করতে হবে বিজ্ঞপ্তি, এর জন্য একদিন অতিরিক্ত সময় লাগবে।