অনলাইন ডেস্ক : শিলচর শহরে ই-রিক্সার জন্য ওড-ইভেন পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত প্রথমবার নেওয়া হয়েছিল এই বছর জানুয়ারি মাসে। তবে সম্প্রতি শহরে প্রত্যেক ই-অটো চালকদের কাছে এক বার্তা আসে। সেখানে বলা হয় এবার তাদের জন্যও এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। এরপর শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড় এবং এতে নাজেহাল হন চালকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে অল কাছাড় কমার্শিয়াল ই-অটো অ্যাসোসিয়েশন জেলার পরিবহন আধিকারিকের দ্বারস্ত হয়। তিনি ট্রাফিক আধিকারিকদের ফোন করে জানান, ই-অটো নয়, আপাতত শুধুমাত্র ই-রিক্সার জন্যই ওড-ইভেন পদ্ধতি রয়েছে।
ই-অটো চালকরা জানান, গত দুদিন থেকেই ট্রাফিকের আধিকারিকরা তাদের আটকাচ্ছেন এবং ওড-ইভেন পদ্ধতির নাম করে চালান কাটা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘ই-অটোর জন্য এখনও কোনও আলাদা নিয়ম বানায়নি জেলা প্রশাসন। ওড-ইভেন পদ্ধতি শুধুমাত্র ই-রিক্সার জন্য রয়েছে। এছাড়া হঠাৎ করে এদের উপর এভাবে নিয়ম চাপিয়ে দেয়া যায় না। তার জন্য সবাইকে নিয়ে বৈঠক করতে হয়, এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা বিষয়গুলো জেলা পরিবহন আধিকারিক রমেশ শ্যামের কাছে তুলে ধরি। তিনি আমাদের কথা দেন ট্রাফিক পুলিশ ই-অটো চালকদের উপর ওড-ইভেন পদ্ধতি চাপিয়ে দেবে না। এতে আমরা আশ্বস্ত।
বিকাশ জানান, তারা এই নতুন সংগঠন গড়ে তুলেছেন এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ই-অটো চালকদের স্বার্থরক্ষা। তিনি বলেন, ‘সমাজের একটা বড় অংশ চাকরির অভাবে অটো চালায়। একটা ই-অটো কিনতে প্রায় চার লক্ষ টাকা দরকার এবং সমাজের শিক্ষিত যুবকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এগুলো কিনে। আমরা শহরের ট্রাফিকের সমস্যার কথা বুঝি তবে আমাদের কথাও প্রশাসনকে বুঝতে হবে। আমরা বৃহস্পতিবার রমেশ শ্যাম মহাশয়ের কাছে কথাগুলো জানাই এবং তিনি আশ্বাস দেন আমাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। বৈঠকের সকলের সম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা আমরা পালন করব।’ এদিন জেলা পরিবহন আধিকারিক এর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় সভাপতি বিকাশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হরি দাস, কোষাধ্যক্ষ রাজু সাহা, সদস্য জিতুলাল দাস, শাহাবুদ্দিন বড়ভূঁইয়া, শমশের উদ্দিন মাজারভূঁইয়া, মহেন্দ্র দাস, জয় কুমার গৌড়, জয়ন্ত দাস, নুরুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।