অনলাইন ডেস্ক : ফের স্বমহিমায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার চিনের অর্থনীতি ভারত থেকে বড়, এই মন্তব্যের জন্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সমালোচনা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে দাবির পাশাপাশি বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি কাশ্মিরকে নিয়ে ভাবেন না।
ছত্তিশগড়ের রায়পুরে কংগ্রেসের ৮৫তম প্লেনারির শেষ দিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী । তাঁর দাবি, চিনের অর্থনীতিকে ভারতের থেকে বড় বলেছেন বিদেশমন্ত্রী। এটা জাতীয়তাবাদ নয়, কাপুরুষতার পরিচায়ক। ঠিক কী বলেছেন রাহুল? তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”জয়শংকর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ভারতের অর্থনীতি চিনের থেকে ক্ষুদ্র। আমরা কীভাবে এর সঙ্গে লড়াই করব? আমরা যখন ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করেছিলাম সেই সময় কি আমাদের অর্থনীতি খুব বড় ছিল? তার মানে উনি বলতে চাইছেন, যারা আমাদের থেকে বেশি শক্তিশালী তাদের সঙ্গে লড়তেই যেও না। একে কাপুরুষতা বলে।”
উল্লেখ্য, জয়শংকর এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় চিনের অর্থনীতি নিয়ে বলেছিলেন, ”ওরা বড় অর্থনীতি। ছোট অর্থনীতি হিসেবে আমি কী করতে পারি? কী করে বড় অর্থনীতির সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব? এটা সাধারণ জ্ঞানের ব্যাপার।” তাঁর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গেল রাহুলকে।
পাশাপাশি এদিন আদানি ইস্যুতে বিজেপি ও মোদিকেও কটাক্ষ করেন রাহুল। তাঁর কথায়, ”আমি সংসদে এক শিল্পপতিকে আক্রমণ করেছিলাম। আমি কেবল এটাই জানতে চেয়েছিলাম, মোদিজি আপনার সঙ্গে আদানিজির সম্পর্কটা ঠিক কী রকম? বিজেপি সরকার আদানিজির হয়ে সাফাই গাইতে লাগল। ওরা বলতে লাগল আদানিজিকে আক্রমণ দেশদ্রোহিতা। আদানিজি আর মোদিজি এক।” প্রসঙ্গত, তিনদিন ধরে চলছে কংগ্রেসের এই মহা অধিবেশন।
সঙ্গে রাহুল দাবি করেন , কাশ্মীরে পৌঁছে কাশ্মীরের মানুষের আবেগ তিনি বুঝেছেন, মোদী সরকার বোঝেনি। দলের প্লেনারি সেশনের তৃতীয় দিনে রাহুল গান্ধী বক্তৃতায় বলেন, “কাশ্মীরে যখন ঢুকলাম উপত্যকায় বরফ ছিল, রোদ ছিল। হাজার হাজার লোক আমাদের সঙ্গে হাঁটছে। একজন আমার কাছে এসে বলল, রাহুলজি একটা প্রশ্ন, যখন কাশ্মীরের মানুষের কষ্ট হয়, বাকি হিন্দুস্তানের এত আনন্দ কেন হয়?” আমি বললাম, ভুল বুঝছেন ৷ প্রত্যেক ভারতীয় আপনাদের সঙ্গে আছেন ৷ কিছু বাছাই করা লোক আছে, যাঁরা খুশি হন। তাঁদের সংখ্যা হাজার হবে ৷ কিন্তু দেশের নাগরিক কোটি কোটি ৷”
কাশ্মীরে ঢুকে তিনি চারদিকে তেরঙা দেখেন ৷ তিনি বলেন, “পুলিশ বলেছিল ২ হাজার লোক আসবে ৷ আমার নিরাপত্তাকর্মীরাও তাই ভেবেছিলেন ৷ কিন্তু ৪০ হাজার লোক এল ৷ পুলিশ ৪০ হাজার লোক দেখে দড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল ৷” তাঁর কথায়, কাশ্মীর হিন্দুস্থানের সবচেয়ে জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা। কিন্তু চারদিকে শুধুই তেরঙা। কারা এই তেরঙা নিয়ে লাগিয়েছিলেন, বা হাতে নিয়েছিলেন, তাঁদের তিনি জানেন না।