অনলাইন ডেস্ক : সদস্যভুক্তি অভিযানের পর এবার বিজেপিতে শুরু হচ্ছে সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় শীঘ্রই সেরে নেওয়া হবে মন্ডল সভাপতি চয়ন। যদিও কাছাড়ে এবার মন্ডল সভাপতি চয়নকে ঘিরে খুব একটা দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ছে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাছাড়ে দলের ২৩টি মন্ডলের সভাপতি চয়ন পর্ব গুটিয়ে আনা হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই। এমন পরিস্থিতিতে বিগত দিনে দলের অভ্যন্তরে যেভাবে দৌড়ঝাপ পরিলক্ষিত হতো এবার দেখা যাচ্ছে না তা। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা সভাপতি পদে নির্বাচন হলে ভোটার হিসেবে থাকেন মন্ডল সভাপতি রা । তাই জেলা সভাপতি পদে আগ্রহীরা মন্ডল সভাপতি পদে নিজেদের অনুগতদের আসীন করতে
কোনও চেষ্টাই বাকি রাখতেন না। তবে এবার জেলা সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন হচ্ছে না। দলের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এই পদের জন্য বাছাই করা হবে কাউকে। তাই যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে না, তাই জেলা সভাপতি পদে আগ্রহীদের আর নিজের অনুগত ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে রাখার কোনও প্রয়োজন রইল না। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা মন্ডল সভাপতি পদে অনুগতদের বসানোর চেষ্টার বদলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঊর্ধ্বতন মহলের মন জয়ে। মন্ডল সভাপতি পদকে ঘিরে এমন নিরুত্তাপ পরিস্থিতির মাঝে এবার এসব পদে থাকা বেশিরভাগেরই ফের সুযোগ না পাওয়ার সম্ভাবনা। মন্ডল সভাপতি পদে এবার বয়সের গণ্ডি বেধে দেওয়া হয়েছে ৪৫, সেই হিসেবেই বাদ পড়ে যাবেন কয়েকজন। অন্য কয়েকজন লাগাতার দুবার পদে থাকায় এবার সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাদের। দলীয় এক সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২৩ মন্ডলের মধ্যে ১৭ টিতেই সভাপতি পদে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে জেলা সভাপতি পদে এবার ৬০ বছরের গন্ডি বেঁধে দেওয়ায় বর্তমানে এই পদে থাকা বিমলেন্দু রায়ের নাম চর্চায় নেই। মাস কয়েক আগে অমিতাভ রায়ের নাম নিয়ে বিশেষ চর্চা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে ধলাই উপনির্বাচনে দলের টিকিট বঞ্চিত অমিয় কান্তি দাস, রাজেশ কুমার দাস, রূপম সাহা ও কঙ্কন নারায়ণ শিকদারের নাম নিয়ে। এই ৪ জনের পাশাপাশি অন্য কয়েকজনও মনে সুপ্ত ইচ্ছে নিয়ে উর্ধ্বতন মহলের মনজয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। দলীয় সূত্রটি জানান, ৬০ বছরের গণ্ডি বেঁধে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে
যে ব্যতিক্রম হবেনা, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আপাতত চর্চায় না থাকলেও বিমলেন্দু বাবুর সম্ভাবনা যে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে, বলা যায় না এমনটাও।