অনলাইন ডেস্ক : শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে পালোরবন্দ ও তার ফাঁড়ি নারায়ণপুর, আলিপুর, ডলুগ্রাম ও স্কটপুর বাগানে। এ নিয়ে বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে শুক্রবার শ্রমিকরা শিলচরে ধর্না দেন জেলা কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে। তাদের পক্ষ থেকে দাবি উঠানো হয়, বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত মালিকপক্ষ ভারতমালা প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ পেতে চলেছেন তা যেন আটকে রাখা হয়।
এদিন শ্রমিকরা বাগান থেকে এসে জড়ো হন সদরঘাট রোডে বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে। সেখান থেকে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এসে ধরনা দেন। ধরনা চলাকালীন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ গোয়ালা বলেন, মালিকপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের বিভিন্ন খাতের পাওনা আটকে রেখেছেন। পাওনা রয়েছে বেশ কিছুদিনের রেশনও। সবচেয়ে বড় ব্যাপার প্রভিডেন্ট ফান্ডের পাঁচ কোটির থেকেও বেশি টাকা বকেয়া রাখা হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হলে শুধু মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বারবার মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিলেও, শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মেটানো সহ প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ জমা দেননি। এতে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সংশয়ের।
এবার শোনা যাচ্ছে, ভারতমালা প্রকল্পের জন্য বাগানের কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই বাবদ বাগান কর্তৃপক্ষ বেশ মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন। জেলা কমিশনারের কাছে তাদের আর্জি, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ জমা না করা পর্যন্ত যেন ক্ষতিপূরণের অর্থ আটকে রাখা হয়।
এদিন ধরনা চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হন এক ম্যাজিস্ট্রেট । তাকে বলা হয় জেলা কমিশনার অল্পক্ষণের জন্য বাইরে এসে যেন স্মারকপত্র গ্রহণ করেন। যদিও সে কার্যালয়ের ভেতর নতুন রেশন কার্ড বিতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করছিলেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। জেলা কমিশনার ছিলেন ওই বৈঠকে। পরবর্তীতে ধরনায় যোগদান কারীদের এক প্রতিনিধি দল কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে তুলে দেন স্মারকপত্র।এদিন ধরনা চলাকালীন রাজদীপ গোয়ালা ছাড়াও ছিলেন বাবুল নারায়ণ কানু, ক্ষীরোদ কর্মকার, দুর্গেশ কুর্মি ও রঞ্জিত সাহু প্রমূখ।