অনলাইন ডেস্ক : পুজোর তিনদিন সন্ধ্যার পর থেকে শিলচর শহরের ক্যাপিটাল মোড় থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখার কথা ভাবলেও শেষপর্যন্ত এমন ভাবনা থেকে পিছিয়ে এলো পুলিশ। পুজোর দিনগুলোতে যান চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে সেই অন্যান্য বছরের মতোই।
জানা গেছে, বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের বৈঠকে ক্যাপিটাল মোড় থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত অংশকে পুলিশের পক্ষ থেকে ” পেডেস্ট্রিয়ান জোন”হিসেবে ঘোষণা করে যান চলাচল বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। পুলিশের ভাবনা ছিল যানবাহনের ভিড় এড়িয়ে ওই অংশে শুধু পায়ে হেঁটে পুজোদর্শন করবেন দর্শনার্থীরা। যদিও কিছু পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের আপত্তিতে এই ভাবনা থেকে সরে আসতে হয় পুলিশকে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত সেন জানিয়েছেন, আগে তারা ক্যাপিটাল মোড় থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত অংশ “পেডেস্ট্রিয়ান জোন”হিসেবে ঘোষণার কথা ভাবলেও তা আর কার্যকর হচ্ছে না। শহরে পূজোর তিন দিন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকবে অন্যান্য বছরের মতোই। পুরানো ব্যবস্থায় পুজোর তিনদিন সন্ধ্যার পর ক্যাপিটাল মোড় থেকে নাজিরপট্টি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে যান চলাচল।
ক্যাপিটাল মোড় থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত “পেডেস্ট্রিয়ান জোন” ঘোষনার ভাবনা কার্যকর করা সম্ভব না হলেও এবার ভাসানে “ডিজে”বাজানো নিয়ে আরোপিত হয়েছে কিছু নিষেধাজ্ঞা। ভাসানের দিন সেন্ট্রাল রোড হয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া পুজো কমিটিগুলোকে ডাকবাংলো মোড়ে পৌঁছার পর বন্ধ করে দিতে হবে “ডিজে”। আর রংপুরের দিক থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা কমিটি গুলোকে সদরঘাটে বিবেকানন্দ রোটারিতে পৌঁছার পর একইভাবে “ডিজে” বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ ভাসানে অফিস পাড়ায় বন্ধ থাকবে “ডিজে” বাজানো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে ভাসানের সময় শেষ পর্বে অফিস পাড়ায় পৌঁছার পর নাচানাচির মাত্রা বেড়ে যায়। এতে বিলম্ব ঘটে ভাসানে । তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, পূজা কমিটি গুলো প্রতিমার সঙ্গে যেসব ডিজে বাহী গাড়ি নিয়ে যাবে ডাকবাংলা মোড় ও বিবেকানন্দ রোটারিতে পৌঁছার পর সেসব গাড়ি আলাদা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ভিন্ন পথে। কিন্তু কিছু পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয় ডিজে বাহী গাড়িতে থাকে জেনারেটরও। জেনারেটর সরিয়ে নিলে অন্ধকার হয়ে পড়বে প্রতিমাবাহী গাড়ি। তাই শেষ পর্যন্ত ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ডিজে ও জেনারেটরবাহী গাড়ি প্রতিমাবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকলেও ডাকবাংলো মোড় এবং বিবেকানন্দ রোটারিতে পৌছার পর বন্ধ করে দিতে হবে ডিজে। আর যেসব কমিটি এই নিষেধাজ্ঞ অমান্য করবে সেসব কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।