অনলাইন ডেস্ক, নয়াদিল্লি : কেন্দ্রের মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। অবশেষে সোমবার তা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশনগুলি খারিজ করে দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘নোট বাতিলের আগে কেন্দ্র ও আরবিআই-র মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। এই ধরনের ব্যবস্থা আনার জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক ছিল এবং আমরা মনে করি যে নোটবন্দি সমানুপাতিকতার মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি।’ শীর্ষ আদালতের আরও বক্তব্য, ‘নোটবন্দি করার জন্য আরবিআই-র কোনও স্বাধীন ক্ষমতা নেই। কেন্দ্র এবং আরবিআই-র মধ্যে আলোচনার পরেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অর্থনৈতিক নীতি হওয়ায় সিদ্ধান্তটি ফেরানো যাবে না।’
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার আচমকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এরপর নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়। ১০০০ টাকার নোট পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়। নোটবন্দি ঘোষণা করার পর গোটা দেশে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায়। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় নামে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। এর নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে বলেও দাবি করা হয় কোনও কোনও দলের পক্ষ থেকে। পরে নোট বাতিলের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মোট ৫৮টি পিটিশন জমা পড়ে। পিটিশনগুলিতে দাবি করা হয়েছিল, নোট বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
শীর্ষ আদালত সরকারকে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং এই সংক্রান্ত মিটিংয়ের রেকর্ড এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) আইনে দেওয়া প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল কি না তা জানাতেও বলেছিল। জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান, কালো টাকা এবং কর ফাঁকির মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্যই নোট বাতিল করা হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ মেনেই নোট বাতিল করেছিল সরকার।’ এদিন শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক রায় দেওয়ায় কার্যত স্বস্তি পেল সরকার।