অনলাইন ডেস্ক : জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে হাইলাকান্দির বাঁশডহর প্রথম খণ্ডে এক রাইয়ত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। হাইলাকান্দি জেলা আয়ুক্ত কার্যালয়ের নির্বাচন শাখার এক কর্মীসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করল রাইয়ত থাকা বসতবাড়ির কর্তা দিপালী রায। হাইলাকান্দির কুচিলাস্থিত গোয়ালাপাড়ায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিপালী রায় জানান, তাদের একই গ্রামের বাসিন্দা হাইলাকান্দি ডিসি অফিসের নির্বাচন শাখার এক কর্মীর ঠাকুরদার কাছ থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা এই বাড়িটি রাইয়ত নেয়। প্রায় ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে তারা এই রাইয়ত নেওয়া বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছে।কিন্তু ইদানিং অভিযুক্তরা তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এই সূত্রে তিনি তার চার ননদিনী এবং তাদের পরিবারকে নিয়ে হাইলাকান্দি জেলা আয়ুক্তের কাছে স্মারকপত্র দেন।স্মারকপত্র দেওয়ার পর তাদেরকে বিভিন্নভাবে অভিযুক্তরা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ে দেওয়া অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী দিপালী রায় এবং তার চার ননদিনী সংবাদ মাধ্যমকে ক্ষোভের সঙ্গে জানান যে তারা অভিযুক্তদের হুমকিকে পাত্তা না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক একটার সময় তাদের রাইত নেওয়া বসতবাড়ির একটি ঘরে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে এসে বলপূর্বক আগুন লাগিয়ে দেয়। অগ্নিকাণ্ডে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা তাদের ভাগ্নে সুজিত রায় কোনরকম ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিজের প্রাণ রক্ষা করে। অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা নগদ আড়াই হাজার টাকা সহ তাদের ভাগ্নে সুজিত রায়ের একটি কুড়ি হাজার টাকার স্মার্ট মোবাইল ফোন পুড়ে যায়।। ঘরের আসবাবপত্র সহ ৫০ হাজারেরও অধিক টাকার জিনিসপত্র অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিপালী রায় জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিবরণ জানিয়ে হাইলাকান্দির জেলাশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মীসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে হাইলাকান্দি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি বলে অভিযোগ করেন দিপালী রায়। তিনি মামলায় অভিযুক্তদের শীঘ্র গ্রেফতার করার জন্য তিনি হাইলাকান্দির পুলিশ প্রশাসন এবং অসমের মূখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে দাবি জানিয়েছেন।