অনলাইন ডেস্ক : বছর ৫৮-র এক প্রৌঢ়। চিবিটাবিছিয়া ষষ্ঠ খন্ডের বাসিন্দা নাথ পদবীর ওই প্রৌঢ়ের বেলগাম যৌনাচারের দরুন আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকার মহিলাদের। পরিস্থিতি এমনই যে এলাকার ৩০ জন বাসিন্দা ওই প্রৌঢকে শায়েস্তা করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন কাছাড়ের জেলা আয়ুক্তের কাছে।
এলাকার বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার ভারতীয় কৃষক শ্রমিক মহাসমিতির কাছাড় জেলা কমিটির ব্যানারে এনিয়ে জেলা আয়ুক্তের কাছে পেশ করেছেন এক স্মারকপত্র। স্মারকপত্রে স্বাক্ষরকারী রাজু উরাং ও রতন প্রজারা নিয়েছেন, ওই প্রৌঢ় বিপত্নীক, তার ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তার উৎপাতে এলাকার মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষা নিয়ে সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়। সুযোগ পেলেই ওই প্রৌঢ় মহিলাদের ওপর যৌন লালসা চরিতার্থ করতে উদ্যত হন। সম্প্রতি ঘাটোয়ার পদবীর
বছর ৬০-এর এক মহিলার ঘরে ঢুকেও এই চেষ্টা চালান। তারা আরও জানান, নাথ পদবীর প্রৌঢ় এমনিতে দালালির সঙ্গে যুক্ত। একাংশ পুলিশ কর্মীর সঙ্গেও তার সম্পর্ক রয়েছে। কেউ তার এমন অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে পুলিশ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেন। তার এসব অপকর্মে জড়িত রয়েছেন এলাকার এক মহিলাও। ওই মহিলার সঙ্গে প্রৌঢ়ের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। মহিলাটি লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন পরিবারের সদস্য মহিলাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। সঙ্গে কার বাড়িতে কখন পুরুষ মানুষরা থাকেন না এসব তথ্যও জানিয়ে দেন নাথ পদবীর লোকটিকে। আর এসব তথ্য পেয়ে দুশ্চরিত্র যৌনবুভূক্ষু ওই প্রৌঢ় সুযোগ বুঝে লোকেদের বাড়িতে হানা দেন নিজের কুউদ্দেশ্যে চরিতার্থ করতে।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার এলাকার বাসিন্দারা এক সভায় মিলিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর বৃহস্পতিবার তারা দারস্থ তখন জেলা আয়ুক্তের। বর্তমানে ওই প্রৌঢ়ের যৌনাচারকে ঘিরে এলাকায় ক্রমেই সৃষ্টি হচ্ছে উত্তেজনার। এতে যেকোনও দিন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।