অনলাইন ডেস্ক : গত বছর কাছাড়ের উধারবন্দ পাতিমারা বাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শীর্ষ মাওবাদী নেতা অরুন কুমার ভট্টাচার্য ওরফে কাঞ্চনদাকে। কাঞ্চনদা ধরা পড়ার পর থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা কাছাড় জেলায় মাওবাদীদের গতিবিধি নিয়ে জোর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আর তদন্তের সূত্র ধরে এজেলায় সক্রিয় এক কৃষক সংগঠনের সঙ্গে মাওবাদীদের সংযোগ থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ সূত্র জানান, বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সহ নানা তথ্য সংগ্রহের জন্য কাঞ্চনদা ওই কৃষক সংগঠনকে নিয়মিত অর্থসাহায্য দিতেন। বর্তমানে ওই সংগঠনের এক কর্মকর্তার গতিবিধির দিকে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশের সূত্রটির কথায়, শুধু কাঞ্চনদা নয় এর আগে এ জেলায় ধরা পড়া শীর্ষ মাওবাদী নেতা অনুকুল চন্দ্র নস্কর ওরফে পরেশদা সহ নির্মলা বিশ্বাস এবং আমির উদ্দিনদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল ওই কৃষক সংগঠনের। ওই সংগঠনকে মাওবাদীদের “ওপেন ফ্রন্ট” বলাটাই যুক্তিযুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত বিগত দিনে কাছাড়ের এক প্রাক্তন পুলিশ সুপার বর্তমানে যিনি বাহিনীর শীর্ষ পদে আসীন রয়েছেন, তিনি ওই কৃষক সংগঠনের এক কর্মকর্তাকে ডেকে এ জেলায় মাওবাদী কার্যকলাপ ছড়ানোয় মদত না দেওয়ার জন্য সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রকে উদ্বৃত্ত করে সংবাদ সংস্থার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে গোটা দেশজুড়ে ওই কৃষক সংগঠনের মতো শতাধিক এনজিও বা গণসংগঠন মাওবাদীদের হয়ে কাজ করছে বলে সাম্প্রতিককালে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছেন গোয়েন্দারা । গোয়েন্দাদের দাবি অনুযায়ী মূলত জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের কাছে বিভিন্ন এলাকার খবর দেওয়া প্রয়োজনীয় রসদ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকে এই সংগঠনগুলো। এর পাশাপাশি শিক্ষিত যুবকদের মাওবাদের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলা এবং নতুন করে ক্যাডার নিযুক্তির ক্ষেত্রেও ভূমিকা নিয়ে তাকে এসব সংগঠনগুলো। এবার এসব সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে শুরু হতে পারে জোরদার অভিযান।