অনলাইন ডেস্ক : বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত হলেন দুজন। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ শিলচর আশ্রম রোড তপবননগর এলাকার কীর্তনের মাঠের কাছে ঘটে এই ঘটনা। এই ঘটনার জেরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়ার। সোমবার স্থানীয় লোকেরা এলাকায় মদ ও জুয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়ে ময়দানে নামেন। অবৈধ মদ বিক্রেতা ও জুয়াড়িদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
মারপিটের শিকার হয়েছেন সন্তোষ দাস নামে এক প্রৌঢ় ও তার ভাই পালান দাস। সন্তোষ দাসরা এলাকার মা কালী লেনের বাসিন্দা। ঘটনা নিয়ে পালান দাস ন্যাশনাল হাইওয়ে পুলিশ পেট্রোল পোস্টে এজাহার দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে কীর্তনের মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রাসেল দাস ও তার সঙ্গীদের।
এজাহারে পালান দাস উল্লেখ করেছেন, রাতে এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কীর্তনের মাঠের পাশে রাসেল ও তার ৬ জন সঙ্গী তাদের উপর আক্রমণ চালায়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণে তার ভাই সন্তোষ দাস গুরুতর আহত হন। কিছুটা আহত হন তিনি নিজেও। হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে রাসেল দাসরা সন্তোষ দাসের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের সোনার চেন এবং নগদ ২ হাজার টাকাও ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।
এই এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে রাসেল ও তার সঙ্গীদের ধরপাকড়ের খবর নেই। পুলিশের এক সূত্র জানান, রাসেলের খোঁজে এদিন তল্লাশি চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সে গা টাকা দিয়ে রয়েছে।
এদিকে সোমবার এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়ার। তপবননগর কীর্তন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার অন্যান্যরা মদ ও জুয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেন। কীর্তন কমিটির সদস্য সহ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন অন্যান্যরা একজোট হয়ে যেসব দোকানে মদ বিক্রি হয়ে থাকে সেসব দোকানীদের ডেকে মদ বিক্রি বন্ধ করতে বলেন। একইভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় জুয়ার ঠেকগুলোতেও ।
এলাকার বাসিন্দা উপেন্দ্র দাস, অঞ্জন চৌধুরী, নিশীকান্ত সরকার,গিরীন্দ্র দাস,সচিন্দ্র দাস,সুহেল রানা দাস, জ্যোতি লাল দাস সুবোধ দাস ক্ষিতীশ দাস,প্রবীর দাস, কমল দাস, কুলেন্দ্র দাস, অনন্ত দাস ও দিলীপ দাস সহ অন্যান্যরা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের দরুন শান্তিপ্রিয় লোকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। মদ জুয়া এসবের প্রচলন বেড়ে গেছে মারাত্মকভাবে। এনিয়ে বারবার পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কাজ হয়নি। বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি মাপের দোকানে অবৈধভাবে চলছে মদ বিক্রি, যত্রতত্র বসছে জোয়ার আসরও। যার দরুন দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে ক্রমেই। তারা এসব বন্ধে কড়া হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা দাবি জানান পুলিশের প্রতি।