অনলাইন ডেস্ক : কথা ছিল শ্রীভূমি মিউজিক ফেস্টিভ্যালের মঞ্চ মাতানোর। কিন্তু তেমনটা কিছুই হয়নি। উল্টো আয়োজকদের ‘ চরম অপমানের ‘ শিকার হয়ে অনুষ্ঠান না হয়েই ফিরতে হল শিলচরের জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ডের দল ‘ জাস্ট এনাধার ব্যান্ড ‘ । সাংবাদিক সম্মেলন করে সেইসব বিতর্কেরই কেচ্ছা কাহিনী শোনালেন সেইসব সংগীতের কুশিলবরা। এই বিষয় নিয়ে জোর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে শিলচরের শিল্পী মহলে।
ঘটনাটা হল গিয়ে গত ৮ ডিসেম্বরের। শ্রীভূমি মিউজিক ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে নীলমনি স্কুলের অস্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল শিলচরের এদিব ইমনের ‘ জাস্ট এনাধার ব্যান্ড’-র। তাঁদের সেখানে অনুষ্ঠান করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আয়োজকরা। যথারীতি সেদিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর সকালে শ্রীভূমি পৌঁছেন তারা। তারপর মঞ্চে গিয়ে মিউজিক সেটআপও করেন ‘ জাস্ট এনাধার ব্যান্ড’-র শিল্পীরা। বিকেলে অনুষ্ঠান, তাই তারপর তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় এক কক্ষে। সেই থেকেই বিতর্কের শুরু। এই বিষয়ে আলোকপাত ব্যান্ডের সদস্য এদিব এমন বলেন,’ আমাদের অনুষ্ঠান করার জন্য আয়োজকরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেইমত করে আমরা সেখানে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমাদের চরম অপমানের শিকার হতে হয়েছিল। আমাদের একটা হোটেলের কক্ষে বিশ্রামের জন্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই কক্ষটার অবস্থা ছিল যাচ্ছেতাই। না ছিল বাথরুমের দরজা, জায়গায় জায়গায় পান গুটখার পিক ফেলা। তারপরও আমরা কিছু বলিনি। এ বিষয়ে আয়োজকদের অভিযোগ করলে, দেখছি বলে ওরা সারাটা দিন কাটিয়ে দেয়। সমস্যা সমাধান তো দূরঅস্ত। উল্টে আয়োজকদের মধ্যে থেকে এক ভদ্রলোক আমাদের উপর সিগারেট, মদ্যপানের অভিযোগ তুলেন।আমরা শিল্পী লোক, তারপরও আমরা মনে কিছু নিইনি। তবে মঞ্চে গিয়ে ধৈর্য-র বাঁধ ভেঙে যায়। প্রথমে স্থির ছিল ৪৫ মিনিট আমাদের স্টেজ দেওয়া হবে। তবে মঞ্চে উঠার পর আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয় তোমাদের হাতে ১৫ মিনিট রয়েছে, যা করার করে নাও। বিষয়টা একেবারেই ভালো লাগেনি। তাই আত্মসম্মানকে আর বাজি না লাগিয়ে আমরা অনুষ্ঠান না করেই ফিরে আসি। ‘
এসব কথা বলতে গিয়েই অনেকটা আবেগিক হয়ে পড়েন ইমনরা। সঙ্গে তাঁদের সংযোজন,’ এটা শুধু আমাদের অপমান নয়। গোটা শিলচরের অপমান। আমরা বরাকের তিন জেলা সহ উত্তরপূর্ব ভারতের অনেক জায়গায় অনুষ্ঠান করেছি। কিন্তু এরকম ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয়নি। আরেকটা কথা সবকিছুই রুচিবোধের বিষয়। তাই এরথেকে বেশি কিছু বলার নেই। পাপনও তো সেদিন অনুষ্ঠান করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে তো অনেক ভালোভাবে রাখা হয়েছিল। আমরা তো মনে করি শিল্পী তো আর বড় ছোট বলে কিছু হয় না।’