অনলাইন ডেস্ক : চিকিৎসক ডাঃ মঞ্জুরুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য, চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে অপমানজনক বক্তব্যের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হলেন কাটিগড়ার বিধায়কের প্রতিনিধি এমাদুর রহমান চৌধুরী। মংগলবার তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে পুলিশ।
তারিনীপুরের বাসিন্দা এমাদুর রহমান চৌধুরী ওরফে মানিক একসময় ইউডিএফ নেতা ছিলেন। তখন বেশ দাপট ছিল তার। একসময় দল চুপসে গেলে এমাদুরও লেলিয়ে যান। তবে কিছু দিনের মধ্যেই স্থানীয় বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদারের প্রতিনিধি হয়ে এমাদুর স্বমহিমায় ফেরেন। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সভায় বিধায়কের হয়ে আসন অলংকৃত করেন তিনি। বিধায়কের প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি বেশ পরিচিতি পান এমাদুর। কয়েকদিন হলো, ফেসবুকে নিজে ‘বাস্তব চিত্র’ নাম দিয়ে একটি পেজ চালু করেন বিধায়কের এই প্রতিনিধি। ওই পেজে ভিডিও বার্তা ছেড়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে থাকেন এমাদুর। অভিযোগ, ওই পেজ থেকে কাটিগড়ার স্বনামধন্য চিকিৎসক ডাঃ মঞ্জুরুল হককে নিয়ে বেশ বড় ভিডিও ছাড়েন এমাদুর। ভিডিও-তে ডাঃ হককে নিয়ে যথেচ্ছা মন্তব্য করেন তিনি। কাটিগড়া মডেল হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরতঃ মঞ্জুরুলকে পাগল বলেও আখ্যায়িত করা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসকদের নিয়ে নানা কটুক্তি করেন বলেও এমাদুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে এমাদুরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। সামাজিক মাধ্যমে মঞ্জুরুলের হয়ে এমাদুরের শাস্তির দাবি তোলেন অনেকে।
এদিকে, এনিয়ে সোমবার কাটিগড়া থানায় মামলা করেন ডাঃ হক। মংগলবার পুলিশ এমাদুরকে তার বাড়ি থেকে তুলে আনে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এমাদুরকে থাকায় আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এ খবর চাউর হতে এমাদুরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন অনেকে। তবে কাটিগড়ার বিধায়ক এখনও নীরবতা পালন করে চলেছেন বলে খবর। অনেকের মতে, রাত বাড়লে বিধায়কের কেরামতিতে তাঁর প্রতিনিধি ছাড়া পেয়ে গেলে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।
উল্লেখ্য, সোমবার হওয়া মামলার পর থেকে ‘বাস্তব চিত্র’ পেজে বিতর্কিত ভিডিও-টিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।