অনলাইন ডেস্ক : রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে তৃতীয় শ্রেণীর পদে নিযুক্তির জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার। এর আগে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় স্থানে স্থানে যানজটের কবলে পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল প্রার্থীদের। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে এবার প্রার্থীরা যাতে যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন এর জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কাছাড় জেলা প্রশাসন।
জেলায় এবার ১৫৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসার কথা মোট ৭৫,৭০৭ জন প্রার্থীর। এরমধ্যে ৮০৪৯ জন করিমগঞ্জ জেলার, হাইলাকান্দির ১৯,১১৯ জন এবং বাকিদের সিংহভাগই কাছাড় জেলার। কয়েকজন রয়েছেন ডিমাহাসাও এবং অন্য জেলার। ১৫৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬ টি রয়েছে শিলচর পুর এলাকায়, বাকিগুলি পুর এলাকার বাইরে।
পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলাশাসক রোহণ কুমার ঝা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সেন সহ পুলিশ এবং প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা সাংবাদিকদের জানান, প্রার্থীরা যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে সহজে পৌঁছাতে পারেন এর জন্য যানজট রুখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পরীক্ষার দিন সকালে বিভিন্ন রাস্তা সংলগ্ন এলাকার বাজারগুলো বন্ধ রাখা হবে। জেলাশাসক ওইদিন সকালে পরীক্ষার্থী বিনে
অন্যদের নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। যাতে করে ভিড় এড়ানো সম্ভব হয়। সঙ্গে তিনি করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দির পরীক্ষার্থীদের যতদূর সম্ভব আগের দিন শিলচরে চলে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই সুযোগে হোটেল মালিকরা যাতে ভাড়া বাড়াতে না পারেন এর জন্য তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আধিকারিকরা।
আধিকারিকরা জানান, প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধার জন্য শিলচরের রামনগর আইএসবিটি, তারাপুর রেলস্টেশন, রংপুর, নাগাটিলা মোড় এবং মেহেরপুরে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক অটো, ই রিক্সা এবং এম্বাসেডর কার। এছাড়া জেলার একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বেশকিছু বাসেরও। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর প্রতিটি রুটে নির্ধারিত স্থান থেকে ছাড়বে দুটি করে বাস। এছাড়া বহির জেলার প্রার্থীদের জন্য রয়েছে স্পেশাল ট্রেনও। আর ওইদিন বেলা ১১ টা পর্যন্ত পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বা পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আসা গাড়ি ছাড়া অন্য কোন ধরনের বড় বাস বা লরি শিলচর শহরে ঢুকতে পারবে না।
জেলাশাসক জানান এবার যতদূর সম্ভব প্রার্থীদের বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে সবার ক্ষেত্রে এমনটা করা সম্ভব নয়। তাই সব প্রার্থীই যেন ভোরের দিকেই বাড়ি বা অন্য যে আস্তানায় তারা থাকবেন, সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে যান।
দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সেন ও শীতল কুমার জানান, জেলার ১৫৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ১৯ টিকে বিগত দিনের রেকর্ডের ভিত্তিতে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনিতে সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হবে পুলিশের ১ জন করে এসআই বা এএসআই ও ৬ জন কনস্টেবল। আর স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত হিসেবে রাখা হবে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরও। তারা আরও জানান, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথ সুগম করতে যানজট নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ধ্রুবজ্যোতি হাজরিকা সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিক বহ্নিকা চেতিয়াও।