অনলাইন ডেস্ক : ‘মা আমি আর চাপ সহ্য করতে পারছি না। তাই তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আর আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ এতটুকু লিখেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজেকে শেষ করে দিল এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র বিপ্রজিৎ কর। ঘটনাটা তারাপুর শিববাড়ি রোডের। বাবাও নেই ছেলেটার। মা কে উদ্দেশ্য করেই শেষ বার্তাটা লিখে যায় বিপ্রজিৎ। বছর চব্বিশের বিপ্রোজিতের আত্মহত্যার ঘটনায় শিববাড়ি রোডে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চিকিৎসা ব্যাপারে মা সান্তনা কর ও বিপ্রোজিৎ বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল। সেমতে মঙ্গলবার রাত ১০টার পর শিলচর রেলস্টেশন থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত তাদের ট্রেন ছিল। গুয়াহাটি থেকে বিমানে তাঁরা বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। বের হওয়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এরমধ্যেই এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
রাত ৮-৩০ মিনিটে খাওয়া দাওয়া শেষে বিপ্রোজিৎ মাকে বাড়ির নীচে থেকে ঘুরে আসার কথা বলে বের হয়। কিন্তু বাইরে না গিয়ে ঘরের দু’তলায় চলে যায়। বিপ্রোজিৎকে খুব হাঁটাহাঁটি করতে দেখেন প্রতিবেশীরা। হঠাৎ করে দ্বিতলের একটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় বিপ্রোজিৎ। কিছুক্ষণ পর মা ছেলেকে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না পাওয়ায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে উপস্থিত হয়। এবং শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে রুমের ভেতর প্রবেশ করার পর স্থানীয়রা দেখেন বিপ্রোজিৎ সিলিং ফ্যানের হুকে তার দেহ ঝুলে রয়েছে। গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে রুম থেকে বিপ্রোজিৎ করের একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে।