অনলাইন ডেস্ক : “ডিউটি” চলাকালীন সরকারি চিকিৎসকদের নার্সিংহোম বা প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়া আটকাতে কড়া মনোভাব ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী এমন মনোভাব ব্যক্ত করার পর কাছাড়ে এনিয়ে শুরু হয়েছে নজরদারি।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডা: আশুতোষ বর্মন জানিয়েছেন, দিসপুর থেকে বিভাগীয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আসার পর এ নিয়ে শুরু হয়েছে নজরদারি। যাতে করে ডিউটি চলাকালীন কোনও সরকারি চিকিৎসক ফাঁকি দিয়ে নার্সিংহোম বা প্রাইভেট চেম্বারে যেতে না পারেন। এছাড়া এসব থেকে বিরত থাকার জন্য ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। কোনও চিকিৎসকের সরকারি কর্তব্যকর্মে ফাঁকি দিয়ে নার্সিংহোম বা প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়া ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, তার কাছেও এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এসেছে। এর ভিত্তিতে মেডিক্যালের সবকটি বিভাগের প্রধানদের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিকেল স্টাফরা কোনওভাবেই যেন ডিউটি চলাকালীন নার্সিংহোম বা প্রাইভেট চেম্বার বা ব্যক্তিগত ক্লিনিকে না যান। ডিউটির পুরো সময় তাদের অবশ্যই মেডিক্যালে উপস্থিত থেকে পরিষেবা প্রদান করতে হবে।
অধ্যক্ষ ডা: গুপ্ত বলেন,”ডিউটি”র নির্ধারিত সময়ের পর কে কোথায় গিয়ে কি করেন এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে “ডিউটি” চলাকালীন কোনও অবস্থায়ই নার্সিং হোম বা প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়াটা মেনে নেওয়া হবে না। সঙ্গে তিনি অবশ্য এও বলেন, চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিকেল স্টাফরা সবাই দায়িত্ববান। তাই তার আশা, তারা সবাই সরকারি নির্দেশ অবশ্যই মেনে চলবেন।
এদিকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বেশিরভাগই নির্ধারিত সময় সরকারি হাসপাতালে ডিউটি করে থাকেন। এক ক্ষুদ্র অংশকে দেখা যায় ফাঁকি দিয়ে নার্সিংহোম বা প্রাইভেট চেম্বারে যেতে। এদের জন্যই আজ এভাবে সমগ্র চিকিৎসক সমাজকে ঘিরে ফাঁকিবাজির অভিযোগ উঠছে। যারা এমন অভিমত ব্যক্ত করছেন তাদের বক্তব্য, ফাঁকিবাজ এমন মুষ্টিমেয় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণই জরুরী।