অনলাইন ডেস্ক : অবৈধভাবে গরু মহিষ পাচারকারী পাখী মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সোমবার শেষ রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ফলে গুমড়া পুলিশ অনুসন্ধান কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর চন্দন পাটোয়ারী দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ প্রাণ ঘাতী হামলার শিকার হলেও হাল ছাড়েনি পুলিশ । ইন্সপেক্টর সহ আরো ও। আহত পুলিশদের মেডিকেল পাঠিয়ে । গুমড়া কেন্দ্রের ইনচার্জ পঞ্চ পল্লব বরা বেসামাল পরিস্থিতি হলেও দলবল নিয়ে ফের অভিযানে নেমে গরু মহিষ পাচারের মূল নায়ক পাখী মিয়া, তার স্ত্রী আবিদা বেগম লস্কর, মেয়ে খুলচুমা বেগম বড় ভূঁইয়া, ছেলে রুহিত আহমদ বড় ভূঁইয়া কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে পশ্চিম কাটিগড়ার ইন্দো বাংলা সীমান্তের নাতানপুর এলাকার পাখী মিয়া ওরফে আব্দুল ওয়াহিদ বড়ভূঁইয়া গরু মহিষ পাচারে জড়িত থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান জারি রাখলেও কোন কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। সোমবার শেষ রাতে গুমড়া পুলিশ অনুসন্ধান কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর চন্দন পাটোয়ারী দলবল নিয়ে পাখী মিয়ার নাতানপুরের বাড়িতে অভিযান চালায় ।
এ সময়ে পাখী মিয়ার স্ত্রী আবিদা বেগম লস্কর মহিলা পুলিশ করবি দাস কে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণ ঘাতী হামলা চালায়। আক্রমণের হাত থেকে মহিলা পুলিশকে বাঁচাতে সাব ইন্সপেক্টর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ায় কাবেরী দাস প্রাণে বাঁচলেও সাব ইন্সপেক্টরের মাথায় দা দিয়ে কুপ বসায় আবিদা । উল্লেখ্য আহত পুলিশদের রক্ষা করতে ঘটনাস্থল ছাড়তে বাধ্য হন অন্য পুলিশরা। তাছাড়া রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে আক্রমণ চালাতে উদ্যত। সব মিলে বেসামাল পরিস্থিতিতে অভিযান সাময়িক স্থগিত রেখে ঘটনার স্থান ছেড়ে আসলেও ফের পাকড়াও অভিযানে নেমে সফল হয় পুলিশ। মা মেয়ে, বাবা ছেলে কে পুলিশ হেফাজতে রেখে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে বিশেষ করে পাচার চক্রের তথ্য সংগ্রহ করতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি নয় পুলিশ । পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় গোটা সীমান্ত অঞ্চলে চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। কারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চান । হাতে গুনা দুষ্কৃতীদের এহানো ঘটনার এলাকায় অশান্তি বিরাজ করছে ।