অনলাইন ডেস্ক : দেশের সংবিধান রক্ষার লক্ষ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে দাবি করেছেন করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরী। আর সেই তিনিই কিনা ভোটের দিন হিংসা ছড়ানো এবং বুথ দখলের পরিকল্পনা করছেন। কোন সংবিধানে এসবের মান্যতা দেওয়া হয়েছে, প্রশ্ন ছুড়লেন সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া (সাজু)। সম্প্রতি করিমগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা এস তাপাদারের ভোটের দিন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং বুথ দখলের পরিকল্পনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ গ্রেফতার করে জহির উদ্দিনকে। তবে তাপাদার এখনও পলাতক। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন করিম উদ্দিন। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, হাফিজ রশিদের জন্য-ই আজ করিমগঞ্জের কংগ্রেস কর্মীরা বিপদের সম্মুখীন। তিনি (হাফিজ রশিদ) নিজে একজন আইনজীবী হয়ে আইন হাতে তোলার পরিকল্পনায় সামিল হয়েছেন। এটাকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এই ঘটনাকে রাষ্ট্র বিরোধী আখ্যা দিয়ে বিধায়ক করিম উদ্দিন আরও বলেন, এআইইউডিএফ একটি সুশৃঙ্খল দল। এই দল সংবিধানকে মেনে চলে। দলের নেতাকর্মীরাও ভদ্রসজ্জন। তাই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর কোনও মামলা করেনি এআইইউডিএফ। পুলিশ -ই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে এবং একজনকে গ্রেফতার করেছে। বরাকের ইতিহাসে এধরণের ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেন বিধায়ক। বলেন, হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরী যা করেছেন, বরাকের কোনও নেতা এ ধরনের কাজ করেননি। তিনি আরও বলেন, আইনজীবী হয়েও হাফিজ রশিদ আহমদ দলীয় কর্মীর জামিন করাতে পারছেন না। তাঁর ক্ষমতা নেই দলীয় কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার। করিম উদ্দিন বলেন, ভোট বাক্সে কংগ্রেসের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন জনগণ।