অনলাইন ডেস্ক : সোমবার সকালে যখন গোটা দেশের মানুষ অযোধ্যার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা মুহূর্ত দেখার জন্য অধীর আগ্রহে টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন, ঠিক সেই সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অসমের নগাঁও জেলার বটদ্রবা থানের সামনে রাস্তায় বসে ‘রঘুপতি রাঘব’ গান গাইছিলেন। দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এদিন সকালে শ্রীমন্ত শংকর দেবের জন্মস্থান দর্শন করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে সুরক্ষা বাহিনীরা তাকে ঢুকতে দেয়নি। প্রায় দু ঘণ্টা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ দেখিয়ে সেখান থেকে মরিগাও জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন রাহুল। ১৮ জানুয়ারি ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে অসমের ঢুকেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল ২২ জানুয়ারি সকালে রাহুল বটদ্রবা থান দর্শনে যাবেন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কংগ্রেস দলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তারা যেন সোমবার দুপুরে বটদ্রবা থানে না যান কারণ ওই সময় সারা দেশের মানুষ অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্ত উপভোগ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যদি কংগ্রেসের রূপে এই কথা মানা না হয় তাহলে বাধ্য হয়ে অসম সরকার তাদের আটকাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে।
সোমবার সকাল ৯ টা নাগাদ রাহুল গান্ধী এবং তার সহযোগীরা বটদ্রবা থানের সামনে উপস্থিত হন তবে এর আগেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে বেরিকেড গড়ে তুলেছিল। এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্থানীয় পুলিশ সুপার। রাহুল গান্ধী তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, তাকে কেন আটকানো হচ্ছে। পুলিশের তরফে বলা হয়, উপর থেকে নির্দেশ রয়েছে। প্রায় ঘন্টাখানেক কথাবার্তার পর রাহুল গান্ধী দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এদিকে খবর দেওয়া হয় বটদ্রাবা থানের সত্রাধিকারকে। শেষমেষ পুলিশ স্থানীয় সাংসদ গৌরব গগৈ এবং কংগ্রেস দলের একজন বিধায়ককে থানে যাওয়ার অনুমতি দেয়।