অনলাইন ডেস্ক : মনিপুরে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেমে শিলচর থানা এলাকার বাদ্রিপার চতুর্থ খন্ড থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ( এন আই এ)। মহম্মদ নূর হোসেন নামে এই যুবক মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার ককতা এলাকার বাসিন্দা। নূর হোসেনকে পাকড়াও করার পর নিয়ে যাওয়া হয়েছে গুয়াহাটিতে।
জানা গেছে, গত ২১ জুন ককতা এলাকায় নূর হোসেনের বাড়ির কাছে একটি সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হন। এবং সেতুটিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর এনিয়ে বিষ্ণুপুর থানায় নথিভুক্ত করা হয় এক মামলা। তবে পরবর্তীতে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করা হয় এনআইএ-র হাতে। তদন্তে নেমে এনআইএ বিস্ফোরণের সঙ্গে নূর হোসেনের সংযোগ থাকার তথ্য লাভ করে। যদিও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গোপন সূত্রে এনআইএ-র আধিকারিকরা জানতে পারেন নূর রয়েছে কাছাড়ের বাঁশকান্দি এলাকায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার এ জেলায় এসে এন আই এর একটি দল স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় বাঁশকান্দি মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় নূর মহম্মদের এক কাকা নুরুল হক চৌধুরী ওরফে কুলিমিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। যদিও শনিবার নুরুল হকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর রবিবার রাতে বাদ্রিবার চতুর্থ খন্ডে রশিদা বেগম চৌধুরী নামে এক মহিলার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে পাকড়াও করা হয়।
এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে নূর মহম্মদের পরিবার মূলত বাঁশকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তবে বেশ কয়েক বছর আগে তার বাবা চলে যান মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার ককতায়। নূর মহম্মদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সেখানেই। সূত্রটি জানান এন আই এর দল তাকে খুঁজছে এটা আঁচ করেন নূর মোহাম্মদ কিছুদিন আগে চলে আসে বাঁশকান্দিতে তার কাকা নুরুল হকের বাড়িতে। শনিবার রাতে নুরুল হকের বাড়িতে তল্লাশির সময় সে পালিয়ে যায়। এবং আশ্রয় নেয় বাদ্রিপার চতুর্থ খন্ডে রশিদা বেগম চৌধুরির বাড়িতে। সেখান থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। রশিদা সম্পর্কে জানা গেছে, তার বাবার বাড়িও মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার ককতায়। বিয়ে হয়েছে বাদ্রিপার চতুর্থ খন্ডে। সেই সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় নূর হোসেনের। আর এই পরিচয়ের সূত্রেই সে আত্মগোপন করেছিল রশিদার বাড়িতে। নূর হোসেনকে বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেফতার করা হলেও, সে কোন জঙ্গি সংগঠনে রয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।