অনলাইন ডেস্ক : শিলচর রংপুর গঙ্গাপাড়া য় প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। রাহুল রায় নামে ওই যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধে উঠেছে রহস্য। সন্দেহ করা ঘটনাটা খুন।
জানা গেছে শনিবার সকালে রাহুলের মৃতদেহ এক প্রতিবেশীর বাড়ির ঘরের বাইরে একপাশে শৌচালয়ের পাইপে তার ই শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস পরানো অবস্থায় লেগে থাকতে দেখা যায়। তবে তার পা দুটি কিছুটা বেঁকে গিয়ে লেগেছিল মাটিতে। সকালে এই দৃশ্য দেখার পর এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাহুলের পরিজনরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সে ফোন করে জানায় রাতে বাড়ি ফিরবে না। থাকবে এক বন্ধুর সঙ্গে। এরপর শনিবার সকালে পাওয়া যায় তার মৃতদেহ।
পরিজনরা সন্দেহ ব্যক্ত করেছেন, ঘটনাটা নিশ্চিতভাবে হত্যাকান্ড। তারা জানান, একে তো রাহুলের পা ছিল মাটিতে লেগে, এর উপর হাঁটু ছিল ফোলা। এছাড়া তার ঠোঁটেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। তাদের কথায়, রাহুলকে মারধর করে হত্যার পর ঘটনাটাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে তারই শার্ট দিয়ে গলায় ফাস পরিয়ে মৃতদেহ বেঁধে দেওয়া হয় ওই বাড়ির শৌচাগারের পাইপে।
পুলিশ অবশ্য এই মুহূর্তে ঘটনা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে রাজি নয়। পুলিশের এক সূত্র বলেন, মাটিতে পা লেগে থাকাটা খুব গুরুতর ব্যাপার নয়। রাহুলের গলায় ফাঁস পরানো শার্টের অন্য দিকটা যে পাইপে বাধা ছিল সেই পাইপ সম্পূর্ণ খাড়া। তাই সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহের ভারে ফাঁস লাগানো শার্ট ঘষটে নিচে নেমে এসে পা মাটিতে লেগে যেতেই পারে। তবে এরপরও ঘটনাটা যেভাবে ঘটেছে, এতে রাহুল যে আত্মঘাতী হয়েছেন তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল থেকে রাহুলের বন্ধু রায় পদবীর অন্য এক যুবককে দেখা যাচ্ছে না। ঘটনাকে ঘিরে ওই বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই।