অনলাইন ডেস্ক : এক নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠলো করিমগঞ্জ শহর লাগোয়া মেদল এলাকা । ১৫ বছরের নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে । স্থানীয়রা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে থানায় খবর দেন । ম্যাজিস্ট্রেটের সহ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার ।
মাস কয়েক আগে করিমগঞ্জের লোয়াইরপোয়া এলাকা থেকে একটি পরিবার মেদল এলাকায় এসে বসবাস করতে শুরু করে । পরিবারে চার মেয়ে ও মা বাবা । বাবা পেশায় দিনমজুর । দু’দিন আগে চার মেয়েকে বাড়িতে রেখে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন মা – বাবা । রবিবার সকালে এক মেয়ে ছুটে গিয়ে পাশের বাড়ির লোকদের জানায় যে তার বড় দিদি নড়াচড়া করছে না । তার শরীরে কাপড় নেই । এলাকার মহিলারা প্রথমে ছুটে যান । তারা প্রত্যক্ষ করেন ঘরের দরজা খোলা আর বিছানার উপর নগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়েটি । অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। মহিলারা মেয়েটির শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন । মেয়ের গোপনাঙ্গে রক্তের দাগ দেখে ধর্ষনের সন্দেহ করেন স্থানীয়রা। এমনকি মেয়েটি মৃত সেটাও বুঝতে পারেন তারা। মেয়ের পরিবারের কাছে খবর পাঠালে তারা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় সদর থানায় । সঙ্গে সঙ্গে দলবল নিয়ে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাস । ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি তে মরদেহ উদ্ধার করে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে এই ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ ধর্ষনের পর মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে । এই ঘটনায় জড়িত দের আটক করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানান স্থানীয়রা ।