অনলাইন ডেস্ক : ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হরিয়ানার নুহ। হিংসার আগুনে জ্বলছে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি। এই ঘটনা অবশ্য আকস্মিক নয়। পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত। সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির লক্ষ্যেই এই ষড়যন্ত্র। একটি সম্মেলনে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তাঁর আশঙ্কা, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সমাজকর্মীদের ছ’টি গোষ্ঠী। সত্যপাল ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিগ্বিজয় সিং, দানিশ আলি, কুমার কেটকর সহ একাধিক সাংসদ। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সত্যপাল বলেন, ‘দুষ্কৃতীদের আটকাতে না পারলে গোটা দেশে মণিপুরের মতো আগুন জ্বলবে। ঝাটরা সাধারণত আর্য সমাজে বিশ্বাসী। তাঁদের ধর্মীয় উন্মাদনা কম। অন্যদিকে, হরিয়ানার ওই অঞ্চলের মুসলিমরাও কট্টরপন্থী নন। তাই স্বাধীনতার পর থেকে সেখানে এই দুই সম্পদায়ের মানুষের মধ্যে বিবাদ বাধেনি। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের হামলার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে। মণিপুরের ঘটনা থেকেই তা স্পষ্ট।’
হরিয়ানার পাশাপাশি পুলওয়ামার হামলা নিয়েও ফের সরব হন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘পুলওয়ামা সংক্রান্ত বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। আরডিএক্স কোথা থেকে এসেছিল? বিমান কেন দেওয়া হয়নি? অথচ প্রত্যেকদিন গোয়েন্দা সূত্রে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়ে অন্তত তিনটি রিপোর্ট আমি পেতাম।’ এখানেই না থেমে সত্যপালের দাবি, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সহানুভূতি কুড়োনোর জন্য বিজেপি নিজেদের কোনও প্রভাবশালী নেতাকে খুনও করাতে পারে।
এমনকী, প্রয়োজনে রামমন্দিরে বোমা বিস্ফোরণও ঘটাতে পারে। অজিত দোভাল বারবার সংযুক্ত আরব আমিরশআহিতে কেন যাচ্ছেন? আসলে উনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরবর্তী হামলার আগে ওখানকার নেতাদের সমর্থন পেতে মরিয়া। ভারতীয় জওয়ানরা যখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালাবেন, তখন পাকিস্তান কোনও পাল্টা হামলা চালাবে না। আর এমনটা করার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শাসকরা। তাই এ বিষয়ে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।’