অনলাইন ডেস্ক : শিলচর এনআইটিতে হোস্টেলের তিন পাচক বিকি রি, মনা দাস ও রাজকুমার দুষাদকে মারপিটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। এর পাশাপাশি ঘটনাকে ঘিরে এনআইটিতে নিরাপত্তা রক্ষায় নিযুক্ত ভ্যানগার্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস এন্ড সিস্টেমস নামে সংস্থার তিন নিরাপত্তা রক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সঙ্গে এনআইটি কর্তৃপক্ষ গোটা ব্যাপারটা তদন্তের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটিকে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
এন আই টির ৪ নম্বর হোস্টেলের এক পড়ুয়ার মোবাইল চুরির সন্দেহে একাংশ পড়ুয়া বেধড়ক মারপিট করে তিন পাচক বিকি, মনা ও রাজকুমারকে। মারপিটের যে ভিডিও রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে এতে দেখা গেছে সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক নিরাপত্তারক্ষীও। অভিযোগ হোস্টেলে এক দফা মারপিটের পর তিনজনকে নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও তাদের মারপিট করা হয়। এ নিয়ে রাজকুমারের পক্ষ থেকে ঘুঙ্গুর পুলিশ ফাঁড়িতে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) কল্যাণ কুমার দাস, শিলচর সদর থানার ওসি অমৃত কুমার সিং ও ঘুঙ্গুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বুদ্ধিরাম মুক্তিয়াররা এনআইটিতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখেন।
এদিকে যে তিন নিরাপত্তা রক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এদের মধ্যে একজন ভ্যানগার্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস এন্ড সিস্টেমস এর “সি-ও” ইবুঙ্গ ইয়ালমা সিংহ এবং অন্য দুজন নিরাপত্তাকর্মী রাজকুমার নুনিয়া ও অনিল নূনিয়া।
এন আই টির এক উচ্চ পদস্থ সূত্র জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের তরফে পৃথকভাবে তদন্তের জন্য যে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করার পর, এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্রটি ইঙ্গিত দেন মারপিটে জড়িত কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।