অনলাইন ডেস্ক : “এফিডেভিট”-এর নামে বড় ধরনের জালিয়াতি
ঘটলো কাছাড়ে। এই জালিয়াতিতে নাম জড়িয়ে পড়েছে শিলচর জেলা বার সংস্থার সদস্য এক মহিলা আইনজীবীর।
খবর অনুযায়ী, ওই মহিলা আইনজীবী জেলার এক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রচুর লোককে “এফিডেভিট” করে দিয়েছেন। জানা গেছে ,ওই ম্যাজিস্ট্রেটও একজন মহিলা। আর যাদের “এফিডেভিট” করানো হয়েছে, এদের সিংহভাগই তা করিয়েছেন পাসপোর্ট তৈরীর “ভেরিফিকেশন”প্রক্রিয়ার জন্য। ব্যাপারটা নজরে পড়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বার সংস্থা। জানা গেছে বার সংস্থার ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে ব্যাপারটা নিয়ে বৈঠকে বসে সবকিছু খতিয়ে দেখার পর ওই মহিলা আইনজীবীর বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। বার সংস্থার এক সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে আগামী ১ আগস্ট সংস্থার জেনারেল কাউন্সিলের সদস্যরা এক বৈঠকে বসে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও বার সংস্থার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করলে, তারা এনিয়ে এই মুহূর্তে কেউই মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। তবে ব্যাপারটাকে ঘিরে বার সংস্থার অভ্যন্তরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সংস্থার অনেক সদস্যই অভিমত ব্যক্ত করেছেন, ঐতিহ্যবাহী বার সংস্থার সুনামকে এভাবে কালিমালিপ্ত করা মেনে নেওয়া যায় না কোনও অবস্থায়ই। ওই মহিলা আইনজীবীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
জানা গেছে, ব্যাপারটা বার সংস্থার নজরে এসেছে সংস্থার কার্যালয়ের সূত্রে। “এফিডেভিট”-কে ঘিরে যাতে দালালরা কোনও সুযোগ না নিতে পারে, এর জন্য সংস্থার সদস্য কোনও আইনজীবী কারও “এফিডেভিট” করালে তা সংস্থার কার্যালয়ে রেজিস্টারে নথিভুক্ত করানোটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওই মহিলা আইনজীবী তা না করে গোপনেই সারছিলেন সবকিছু। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি এসব চালানোর পর ব্যাপারটা নজরে পড়লে মহিলা আইনজীবীকে এনিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তবুও তিনি নিজেকে শুধরাননি। এতে তাকে ঘিরে জেগে উঠে সন্দেহ। তখন সংস্থার পক্ষ থেকে খোঁজখবর করে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট শিলচরে না থাকার দিনগুলোতেও তার সিল এবং স্বাক্ষর ব্যবহার করে “এফিডেভিট” করিয়েছেন ওই আইনজীবী। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর ব্যাপারটা পাঠানো হয় সংস্থার ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে।
এদিকে গোটা ব্যাপারটায় মহিলা আইনজীবীর সঙ্গে এক বড়সড় চক্র জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিশেষত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাসপোর্ট ব্র্যাঞ্চের কারোও জড়িত থাকার সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে যথাযথ তদন্ত হলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।