অনলাইন ডেস্ক : ডিলিমিটেশনের খসড়া নিয়ে গণ-শুনানির নামে ছেলেখেলা চলছে, ঠিকঠাক গণ-শুনানি না হলে আগামীতে বরাক জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের হুশিয়ারি দিয়েছে বিডিএফ। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের কর্মকর্তারা।
ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করছে প্রশাসন ও সরকার। এই খসড়া প্রকাশের পর বিডিএফ প্রথম বরাক বনধ-এর ডাক দিয়েছিল, সমর্থন করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন। ৪৫ লক্ষ বরাকবাসী এই সফল বনধ পালনের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োগের কাছে তাদের আপত্তি তুলে ধরেছিলেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন আয়োগের কাছে বরাক থেকে প্রায় ৩৫০ আপত্তি ও সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। কিন্তু বরাকের তিন জেলা সহ আরো কয়েকটি জেলার গনশুনানির জন্য মাত্র দুঘণ্টা সময় বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে আবার কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক ডিলিমিটেশনের ব্যাপারে শুধু রাজ্যের রেজিস্ট্রিকৃত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডেকে কারা এই শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন তাঁর একটি তালিকা তৈরি করেছেন। শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস দলকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যথারীতি বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট সহ আরো অনেক সংগঠন যারা এ ব্যাপারে প্রতিবাদী আন্দোলন করেছে তাদের কাউকে ডাকা হয়নি বা এই তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে আদৌ তারা এই গনশুনানিতে যোগ দিতে পারবেন কিনা তানিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রদীপবাবু বলেন, এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা চলছে। তালিকা চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আগেই সরকারি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, যা করা হচ্ছে তা শুধু লোক দেখানোর খাতিরে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একবার বলছেন এই তালিকা নির্বাচন আয়োগ বানিয়েছে, রাজ্য সরকারের এতে কোনও ভূমিকা নেই। আবার সেই মুখ্যমন্ত্রীই বলছেন এই খসড়া খিলঞ্জিয়ার স্বার্থে তৈরি হয়েছে, এটির মাধ্যমে নাকি অসমিয়াদের জন্য ১০২টি আসন আগামী ৫০ বছরের জন্য সুরক্ষিত থাকবে। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন তিনি অসমিয়াদের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে চান এবং সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই খসড়া। একটি সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও তার এইসব অসাংবিধানিক বক্তব্য প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। প্রদীপবাবু বলেন, গণ-শুনানি সম্পুর্ন আইনানুগ হতে হবে। অন্যথায় আগামীতে তীব্র আন্দোলন হবে বরাকজুড়ে।