অনলাইন ডেস্ক : ডিলিমিটেশনের খসড়া নিয়ে প্রতিবাদের সুর ধ্বনিত হল কাছাড় ডিস্ট্রিক্ট পিপলস কমিটি ফর সোসিয়াল ইকোনমিক এন্ড পলিটিকাল জাস্টিস নামে সংগঠন আহুত নাগরিক সভায়। রবিবার শিলচর ওয়াটার ওয়ার্কস রোডে ব্যারিস্টার তথা বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা প্রয়াত গোলাম উসমানির বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা। এতে ডিলিমিটেশনের খসড়া নিয়ে প্রতিবাদ ব্যক্ত করে উপত্যকাজুড়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আনোয়ার উদ্দিন বড়লস্কর, আইনজীবী আব্দুল হাই লস্কর, প্রাক্তন অতিরিক্ত জেলাশাসক হোসেন আহমদ লস্কর, অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার আধিকারিক লুৎফুর রহমান লস্কর, অবসরপ্রাপ্ত কৃষি আধিকারিক এ কে সালেহ উদ্দিন, বাঁশকান্দি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মুরাদ আহমদ লস্কর, আইনজীবী আলি রাজা উসমানী, সমাজকর্মী মসরুল বারি ওরফে সুমিত এবং অবিসার কর্মকর্তা বাহারুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া সহ অন্যান্যরা।
সভায় বিভিন্ন বক্তা ডিলিমিটেশনের খসড়ায় বরাক উপত্যকার দুটি বিধানসভা আসন বাদ দেওয়া এবং অন্যান্য আসনের এলাকা কাটছাঁট নিয়ে প্রতিবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এসব কোনও অবস্থায়ই মেনে নেওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধে গোটা উপত্যকাজুড়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনি লড়াই চালানোর পক্ষেও মত ব্যক্ত করা হয়।বক্তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, ডিমিলিমিটেশনের বিরুদ্ধে উপত্যকায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে উঠতে দেখে স্বার্থান্বেষীরা ভয় পেয়ে গেছে। তারা এও বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন পঞ্চায়েত রোডে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে এর পেছনে রয়েছে বিরাট চক্রান্ত। ডিলিমিটেশনের খসড়ার বিরুদ্ধে গড়ে উঠা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ফাটল ধরাতেই চক্রান্ত করে এই ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে। সঙ্গে কেউ কেউ পঞ্চায়েত রোডের ঘটনার জেরে গত শুক্রবার জেলাশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শান্তি বৈঠকে দু-একজনের উপস্থিতি নিয়ে গভীর উষ্মা ব্যক্ত করেন। তাদের কথায়, এমন লোকেদের যদি প্রশাসন আহুত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয় এতে কোনও ইতিবাচক ফললাভ তো হবেই না, উল্টে বিরূপ প্রভাব পড়বে সমাজে। তাই আগামী দিনে এ নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত প্রশাসনের।