অনলাইন ডেস্ক : “ডিলিমিটেশন”-প্রক্রিয়া বিধানসভায় বরাক উপত্যকার প্রতিনিধিত্ব কমানোর এক ষড়যন্ত্র। এই অভিযোগ করলেন শিলচর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ পাল।
রাজ্যের লোকসভা ও বিধানসভা আসনগুলোর পুনর্বিন্যাস(ডিলিমিটেশন)-এর জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বুধবার অভিজিৎ এই অভিযোগ করে বলেন, যেখানে আসন সংখ্যা বাড়ার কথা ছিল সেখানে বরাক উপত্যকায় দুটি বিধানসভা আসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে অসম সরকার বরাককে বঞ্চনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এই খসড়া প্রকাশ করিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিলিমিটেশন করা হচ্ছে ২০০১ এর জনগননার রিপোর্টের ভিত্তিতে। বর্তমানে চলছে ২০২৩, ২০০১ -এর পর দীর্ঘ সময়ে জনবিন্যাস বদলে গেছে অনেকটাই। তাই এই মুহূর্তে
২০০১-এর জনগণনার রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন করাটা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন।
অভিজিৎ বরাক উপত্যকার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করার পাশাপাশি এও বলেন, খসড়ায় বিভিন্ন বিধানসভা আসন পুনর্ববিন্যাস করতে গিয়ে ভৌগলিক অবস্থান সম্পৃর্ন বিকৃত করা হয়েছে। এমন এক একটি এলাকার এক একটি বিধানসভা আসন থেকে কেটে অন্য আসনে সংযুক্ত করা হয়েছে যার দরুন সেসব এলাকার লোকেদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। শিলচর শহরের কিছু এলাকা কেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে উধারবন্দে, একইভাবে বড়জালেঙ্গার কিছু এলাকাকে ঢোকানো হয়েছে বড় খলায়। আর কাটিগড়া ও বদরপুরের কিছু এলাকা যেভাবে অদল বদল করা হয়েছে এর কোনও যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে এর পেছনে রয়েছে বিজেপি এবং এ আই ইউ ডি এফ- এর রাজনৈতিক স্বার্থ। পুনর্ববিন্যাস এমনভাবে করা হয়েছে,যাতে করে ভোটে ওই দুই দলের স্বার্থ বজায় থাকে।
ব্যাপারটা নিয়ে তার দল আইনি পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে বলে জানান অভিজিৎ।