অনলাইন ডেস্ক : কেন্দ্রীয় মহিলা শিশু উন্নয়ন ও আয়ুস প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুপারা মহেন্দ্রভাই বিদ্যালয়ের মাঝপথে পড়া ছেড়ে দেওয়া (ড্রপ আউট) ছাত্র-ছাত্রীদের কারণ অনুসন্ধান করতে শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সোমবার হাইলাকান্দিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পর্কে এক রিভিউ মিটিং এ এই নির্দেশ দেন।
শিক্ষা বিভাগ থেকে সভায় জানানো হয়, জেলার ১৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৩৭ জন জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। জেলায় ১২৯৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পোষন কর্মসূচি চলছে। বিদ্যাঞ্জলি নামক প্রকল্পে জেলায় ১১৮২টি সিলিং ফ্যান স্কুলের প্রাক্তনীরা তাদের নিজস্ব বিদ্যালয়ে দান করেছেন এবং আরোহন নামক প্রকল্পের ৫৬ জন মেধাবী পড়ুয়াকে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা স্পন্সর করছেন। জেলায় কর্মসংস্থানের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর ট্রেনিংপ্রাপ্ত ২৬৪ জনের মধ্যে ২২ শতাংশের নিযুক্তি না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানতে চাইলে জীবিকা মিশন থেকে জানানো হয়, উপত্যকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই এবং ট্রেনিং প্রাপ্তরা অন্য রাজ্যে যেতে না চাওয়াই এই নিযুক্তি না হওয়ার কারণ।
জীবিকা মিশনের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পে জেলার ১১৯৮ জনকে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কর্মসূচি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৪০ শতাংশ সফলতা পাওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেলার জীবিকা মিশন শাখার তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। জেলা পরিষদ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অভিবাসী প্রকল্প অমৃত সরোবরের ৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে জেলায় ৪৬টি সম্পূর্ণ এবং ২১টির কাজ আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হবে। জেলার চা বাগান গুলিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ লক্ষ ৮ হাজার ৬৫০ কর্ম দিবস সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে জেলায় ১ লক্ষ ৩১৯৯ টি শৌচালয় নির্মাণ করে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে আয়ুষ্মান কার্ড এর ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭ ৫৯ এর ইকেওয়াইসি করা সম্ভব হয়েছে। মোট ৪ লক্ষ ৮০ হাজার একটি রেশন কার্ডের মধ্যে। পিএইচই বিভাগের জল জীবন মিশনের ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৪ টি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিয়ে ৬১ শতাংশ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জেলায় এক লক্ষ ৬৯ হাজার ১৯৬টি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দিয়ে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। জেলার সব শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সভায় জেলাশাসক নিসর্গ হিভারে গৌতম প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা স্কিমটির প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিভাগের দুটি পোর্টালের মাধ্যমে না পাঠিয়ে একত্রিকরণ করার প্রস্তাব দেন।