অনলাইন ডেস্ক : লক্ষ্যে অবিচল থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে প্রতিবন্ধকতার কোনও ঝড় আপনাকে একবিন্দুও চূড়ান্ত রেখা স্পর্শ থেকে দূরে রাখতে পারবে না। শিলচর দ্বিতীয় লিংক রোডের ছাত্রী স্বরূপা নাথের ক্ষেত্রে এই কথাগুলো একশো শতাংশ প্রযোজ্য। থ্যালসামিয়ার মত মারনব্যধি নিয়েও মাধ্যমিকে দারুণ ফলাফল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মেয়েটা। সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে তিনটি লেটার সহ ৭১ শতাংশ নম্বর নিয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেছে স্বরূপা। ৮০ – ৯০ শতাংশের ভিড়ে প্রাপ্ত নম্বরের অঙ্কটা সামান্য কম মনে হলেও স্মরণে রাখা উচিত মাত্র তিন মাস বয়স থেকেই থ্যালসামিয়ায় আক্রান্ত স্বরূপা। সুস্থ থাকার জন্য এই রোগে আক্রান্তদের মাসে দু- বার রক্ত পাল্টাতে হয়। সেজন্য হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী স্বরূপা। তাছাড়া চিকিৎসার পর সেইমত অর্থবল না থাকায় প্রাইভেট টিউটর রাখতে পারেননি স্বরূপার অভিভাবকরা। এত বাধাবিপত্তির পরও হারের চোরাস্রোতে হারিয়ে যায়নি সে। লড়ে গেছে নিজের মত করে। সবশেষে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করে সবাইকে তাক লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রাথমিক রিহার্সালটা সেরে নিলেন স্বরূপা। মেয়ের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি স্বরূপার মা রিনা নাথ এবং বাবা সুব্রত নাথ। সেইসঙ্গে মেয়ের ভবিষ্যত নিয়েও সামান্য হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।