অনলাইন ডেস্ক : ৬২ বছর পরও কেনো ভাষা শহিদদের মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি, ‘মেহোরোত্রা কমিশনের রিপোর্ট অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে’, ‘ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণ করতে হবে’ ইত্যাদি প্লেকার্ড হাতে নিয়ে শুক্রবার সকালে স্টেশন চত্বরে এক প্রতিবাদী ধর্ণায় শামিল হন বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্টের সদস্যরা। ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই অভিনব প্রতিবাদী কর্মসূচি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শহিদ তর্পনে আসা অনেক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ধর্ণায় অংশ নেন। উপুর্যপরি বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেওয়া হয় যুবফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন যুবফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রতিবছর এই দিনে শহিদদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু ঘটনার ৬২ বছর পরও শহিদদের সরকারি স্বীকৃতি জুটেনি। মেহোরোত্রা কমিশনের রিপোর্টকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়নি। অনর্থক ‘ভাষা শহিদ স্টেশন’ নামকরণ আটকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, যদি আমাদের উনিশের লড়াইয়ের প্রকৃত উত্তরাধিকারী হতে হয়, এসব দাবি উত্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। দিশপুরে একের পর এক সরকার আসলেও কেন এই দাবিগুলো পূরণ হয়না এই প্রশ্ন করতেই হবে। আমরা মনে করি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পাশাপাশি সবাই এই নিয়ে সরব হন এবং সেই আওয়াজ দিসপুরের কর্তাদের কাছে পৌঁছাক। সেজন্যই যুবফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই ধর্ণা কর্মসূচি পালন করা হয়।
বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (বিডিএফ) এর কর্মকর্তারা শিলচর শ্মশানঘাটে শহিদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, অসম আন্দোলনের ৮৮০ জন শহিদকে সরকারি স্বীকৃতি ও তাদের পরিবারকে সরকারি অনুদান দেওয়া হলেও ১৯৬১ সালের ১৯ মে-র ভাষা শহিদদের ব্রাত্য করে রাখা নেহাৎই দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। রাজ্যের এক তৃতীয়াংশের মাতৃভাষাকে অবিলম্বে সরকারি সহযোগী ভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি। অন্যান্যদের মধ্যে এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেন যুব ফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেবায়ন দেব, হারাধন দত্ত, রাজু দেব, রাজীব দাস প্রমুখ। উভয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হৃষীকেশ দে, আদিমা মজুমদার, সীমা ঘোষ, জয়দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ।