অনলাইন ডেস্ক : ১৯৬১র ভাষা আন্দোলনে শহিদ ১১জনকে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে ঊনিশে মে বরাকজুড়ে বিভিন্ন কার্যসুচির আয়োজন করা হয়। শুক্রবার ৬৩তম ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে শহর শিলচরেও বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবেগে, উচ্ছাসে শামিল হন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বিগত দু’বছর কোভিড ও ভয়াবহ বন্যার কারণে ঊনিশের অনুষ্ঠানে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছিল। কিন্তু এবার ৬৩তম ভাষা শহীদ দিবসে বাংলাদেশ, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ সহ দুরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ শিলচরে ঊনিশের উদযাপনে সামিল হন।
এদিন শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের শহীদ বেদীতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, শিলচরের বিধায়ক দিপায়ন চক্রবর্তী, ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সদস্য সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কর্তারা। এছাড়াও স্টেশন প্রাঙ্গণে এদিন সুখেন্দু বিকাশ সোম স্মৃতি মঞ্চে বর্ণমালার রোদ্দুর এবং গোলাম কুদ্দুসের লেখা বরাকের ভাষা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়। এছাড়াও শুক্রবার শিলচর শ্মশানঘাটের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের কর্মকর্তারা।পরিবেশন করা হয় সঙ্গীত, নৃত্য, ও নাটক। আয়োজিত হয় শোভাযাত্রাও।
এদিন দুপুরে শিলচর গান্ধীবাগের শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলার বিভিন্ন দল সংগঠন ও সাধারণ মানুষ জমায়েত হয়ে ১৯৬১র ভাষা আন্দোলনে শহিদ ১১জনের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।বরাকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বিভিন্ন বক্তারা এদিন এনআরসির নামে অমানবিক দৃষ্টিকোণ বন্ধ করা, রাজ্য ভাষা আইন অনুযায়ী বরাকের সমস্ত সরকারি কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার, মহসড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের নাম ভাষা শহীদ স্টেশন করা সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।বিকেলে শহীদদের স্মরণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাজলী নিবেদন করেন সাধারণ মানুষ।