অনলাইন ডেস্ক : মেহেরপুর পাঁচঘরি রোডে প্যারাডাইস এনজিও পরিচালিত হোমে ঘনিয়ালা ঘাট এলাকার যুবক শ্রীবাস বিশ্বাস (২৫)-এর মৃত্যুর ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার জল গড়ালো অনেক দূর। এদিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ওই হোম সিল করার পাশাপাশি যাদের চিকিৎসার জন্য সেখানে রাখা হয়েছিল তাদের উদ্ধার করে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য হোমে। এর পাশাপাশি আটক করা হয় হোমের এক কর্মী হাইলাকান্দি লালার বাসিন্দা সালেহ আহমদ বড়ভূঁইয়া এবং হোমের সহযোগী বলে কথিত শিলচর শিবকলোণীর যুবক সুবীর ধরকে। ঘটনা ক্রম সীমাবদ্ধ থাকেনি এখানেই, বিকেলের দিকে শ্রীবাসের পরিজনরা ট্রাঙ্ক রোড ও ইটখলা রোডের মোড়ে মৃতদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধও করেন।
শ্রীবাসকে হোমে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে বুধবারই নালিশ জানিয়েছেন তার পরিজনরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার পুলিশ হোমে তদন্তে গিয়ে দেখতে পায় সেখানে সুব্যবস্থা বলতে নেই কিছুই। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট এইচ মিলির উপস্থিতিতে পুলিশ হোমে চিকিৎসাধীন থাকা ৬ জনকে উদ্ধারের পর অন্য হোমে স্থানান্তর করে। এরপর প্যারাডাইস এনজিওর হোম সিল করে দেওয়া হয়। সঙ্গে আটক করা হয় হোমে যানচালক হিসেবে কর্মরত হাইলাকান্দি জেলার লালার বাসিন্দা সালেহ আহমদ বড়ভূঁইয়াকে। আর এর আগে এই ঘটনার সূত্র ধরে শ্রীবাস বিশ্বাসের দাদাকে মোবাইলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত শিলচর শিব কলোনির বাসিন্দা সুবীর ধরকেও আটক করা হয়।
এদিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্রীবাসের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তার পরিজনরা মৃতদেহ নিয়ে আসার পর বিকেলে ট্রাঙ্ক রোড ও ইটখলা রোডের সংযোগস্থলে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। মৃতদহ নিয়ে অবরোধ গড়ে তুলে তারা হোম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হন। সঙ্গে মালুগ্রাম ফাড়ি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ কেন শ্রীবাসকে ওই হোমে পাঠিয়েছিল। যার দরুন শ্রীবাসের মৃত্যুর দায়ভার এড়াতে পারে না মালুগ্রাম ফাড়ি পুলিশও। অবরোধস্থলে সৃষ্টি হয় বেশ উত্তেজনার। আর দুদিকে আটকা পড়ে যায় যানবাহন। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা ছুটে গিয়ে কথাবার্তা বলে আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।